প্রবল বিপাকে পড়লেন বিচারক হরিশ হাসমুখভাই ভার্মা-সহ গুজরাত জুডিশিয়াল সার্ভিসের ৬৮ জন আইন অফিসারকে। নিয়ম ভেঙে তাঁদের প্রমোশন দিয়েছিল গুজরাতের ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার। আজ, শুক্রবার তাঁদের পদোন্নতির সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। ওই বিচারকদের আগের পদে ফিরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণেই রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ একই সঙ্গে গুজরাত হাই কোর্টের ভূমিকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ওই ৬৮ বিচারকের একজন হরিশ হাসমুখভাই ভার্মা। তিনিই সুরাত আদালতের সেই বিচারপতি, যিনি গত ২৩শে মার্চ মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীকে দু’বছর কারাবাসের সাজা দিয়েছেন। এরপরই চলে গিয়েছে রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ। সাজা ঘোষণার দিনকয়েক আগে জেলা বিচারক পদে পদোন্নতি করা হয় হরিশ হাসমুখভাই ভার্মা-সহ আরও ৬৭ জন বিচার বিভাগীয় ক্যাডারের আইন অফিসারকে। গুজরাত সরকারের আইন ও বিচার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত বিচার ক্যাডারের দুই অফিসার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার ও হাইকোর্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ নিয়ম ভেঙে এই পদোন্নতি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টকে এই তালিকাটি বাতিল করার আর্জি জানান তাঁরা।
উল্লেখ্য, শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি ছিল রাহুলকে সাজা দেওয়ার পাঁচদিনের মাথায়, ২৮ মার্চ। শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি এমআর শাহ ও সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতির ওই তালিকা নিয়ে অগ্রসর হতে নিষেধ করে। তারপরও তড়িঘড়ি গুজরাত হাইকোর্ট হরিশ হাসমুখভাই ভার্মাকে রাজকোটে বদলি করে দিয়েছে। উচ্চ আদালতের এই নির্দেশেই বেজায় অসন্তুষ্ট শীর্ষ সুপ্রিম কোর্ট। প্রশ্ন উঠছে, ৬৮ জনের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কীভাবে বিতর্কে জড়িয়েছে গুজরাত হাই কোর্টের নাম? আদতে জুডিশিয়াল অফিসারদের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি রাজ্য সরকার ও হাইকোর্ট আলোচনা করে ঠিক করে। সুপ্রিম কোর্ট তাই মামলায় গুজরাত হাইকোর্ট এবং রাজ্য সরকারের কাছে হাসমুখভাই সহ অন্যান্যদের পদোন্নতি সংক্রান্ত ফাইল তলব করে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহর বেঞ্চ জানায়, সম্পূর্ণ নিয়ম ভেঙে এই পদোন্নতি করা হয়েছে। ফলত বাতিল করা দেওয়া হয় পদোন্নতির নির্দেশ।