এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না উত্তরাখণ্ডের ভয়াবহ দাবানলকে। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন তীর্থযাত্রীরা। দাবানলের আগুনে একটি মন্দির জ্বলে উঠলে ভক্ত ও স্থানীয় দোকানদারদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হওয়ার উপক্রম হলেও শেষপর্যন্ত বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। গত তিনদিনে দাবালনের কারণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আলমোড়া জেলায় ২৮ বছরের এক নেপালি যুবতীর মৃত্যু হয়েছে আগুনে। আদি কৈলাস তীর্থযাত্রা হেলিকপ্টার পরিষেবা রবিবারের পর সোমবারেও বন্ধ রয়েছে। ধোঁয়ার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে পিথোরাগড়ের নৈনি সাইনি বিমানবন্দরও। আলমোড়ায় দুনাগিরি মন্দিরে সারা বছরই ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে। সেখানে আগুন লেগে গেলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। তীর্থযাত্রীদের বেরনোর পথ রুদ্ধ হয়ে যায় আগুনে। আলমোড়াতেই পাইন রেজিন ফ্যাক্টরির তিন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। রবিবার সন্ধ্যায় হৃষিকেশের এইমসে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সেখানে ভর্তি ছিলেন তিনি।
পাশাপাশি, পুলিশ সূত্র অনুযায়ী তাঁর একটি খামার ছিল পৌরি তহসিলে। আগুন তাঁর গবাদি পশুপালনের খামারের কাছাকাছি চলে এলে তিনি বাঁচাতে যান। সেই সময়ই অগ্নিদগ্ধ হন বৃদ্ধা। রাজ্যের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ৭-৮ই মে থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তা চলবে ১১ই মে পর্যন্ত। এই অবস্থায় পাহাড়ে বৃষ্টি নামলে তবেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কুমায়ুন অঞ্চলে মঙ্গলবার থেকে এবং গাড়োয়ালে বুধবার থেকে বৃষ্টি নামার পূর্বাভাস রয়েছে। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক দাবানলে ১১০৭ হেক্টর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। প্রকৃতি বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এক সঙ্গে এত বনভূমি ধ্বংস হওয়ায় বৃষ্টি নামলেই ভূমিধসের সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়াও ব্যাপক ধোঁয়ায় বাতাসের ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।