ভোট ২০ মে, সেই হিসেবে হাতে আর মাত্র ১২ দিন। তার মধ্যেই প্রচারের কাজ সেরে ফেলতে হবে। তাই অমেঠি এবং রায়বরেলির মতো সম্মানরক্ষার দুর্গ উদ্ধারে আজ, সোমবার থেকেই ময়দানে নেমে পড়লেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব গান্ধী পরিবারের খাসতালুক রায়বরেলির গড়রক্ষা এবং অমেঠির সিংহাসন পুনরুদ্ধারের স্টিয়ারিং তুলে দিয়েছে ‘ঘরের মেয়ে’র হাতেই।
লোকসভা ভোটে রায়বরেলি কিংবা অমেঠি থেকে প্রিয়ঙ্কাকে প্রার্থী করা হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এই গুজব শোনা গেলেও শেষপর্যন্ত সনিয়া গান্ধী কন্যার ভোট-অভিষেক হয়নি। দল তাঁকে প্রচারের গুরুদায়িত্বে রাখাই পছন্দ করেছে। সেই কথা মাথায় রেখে দলের কাছে এই মুহূর্তে সব থেকে সম্মানজনক দুই কেন্দ্র অমেঠি ও দাদা রাহুল গান্ধীর রায়বরেলির প্রচারের দায় বোনের হাতেই সঁপে দিল হাইকমান্ড।
এর আগে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। বিজেপির কাছে বিপর্যস্ত হওয়ায় ছেড়েছিলেন রাজ্যের দায়িত্বের পদও। এবার তার থেকেও দ্বিগুণ পরীক্ষার মুখে তিনি। কারণ, হেরে বসে থাকা অমেঠি যদি পুনরুদ্ধার করতে পারেন, তাহলে সেটাই হবে তাঁর বড় জিত। অন্যদিকে, মায়ের ছেড়ে যাওয়া আসন রায়বরেলির গড় রক্ষার পাশাপাশি কংগ্রেসের চোখের মণি দাদা রাহুলকে জিতিয়ে আনাও বিরাট অগ্নিপরীক্ষা।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উদ্দেশ্যে এই দুই কেন্দ্রের গলি গলিতে পৌঁছে যাবেন প্রিয়ঙ্কা। নির্বাচন পর্যন্ত এখানেই ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকবেন নেত্রী। এর জন্য রায়বরেলিতে একটি গেস্ট হাউসে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখান থেকেই সামগ্রিকভাবে প্রচারের কাজ দেখভাল করবেন।