বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই বারবার রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনকর। প্রায় প্রতিদিনই পালা করে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের নিন্দা করতে দেখা যায় তাঁকে। ফলে এখনও অব্যাহত রাজভবন ও নবান্নের সংঘাত। উত্তরোত্তর আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে তা। এবার যেমন ধনকরকে একহাত নিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি বলেন, রাজ্যপাল বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোাধ্যায়কে অপমান করছেন। ওঁকে ভদ্রলোক বলতেও অসুবিধা হয়৷ উনি অশালীন আচরণ করছেন। উনি মাঝে মধ্যেই রাজস্থান, গুরুগাঁও, দিল্লী যাচ্ছেন। কেন যান? চার্টাড ফ্লাইটে যান। সেই টাকা রাজ্যের মানুষের করের টাকা।
গতকাল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার ভার দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখরকে। পরে ধনকরের বিরুদ্ধে সরব হন সুখেন্দুশেখরও। তিনি বলেন, সংসদে আমাদের ভূমিকা কী হবে তা মমতা বন্দোপাধ্যায় ঠিক করে দিয়েছেন। দলের অনুমোদন সাপেক্ষে তা করা হবে।
তিনি জানান, আইএএস এবং আইপিএসদের কেন্দ্রীয় ডেপুটেশন নিয়ে সংসদে কথা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। সাংসদে বিষয়টি দেখা হবে। সুখেন্দুশেখর বলেন, রাজ্যে লোকায়ুক্ত, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ এবং তথ্য কমিশন সংক্রান্ত ফাইল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল। এটা একটা অপচেষ্টা। রাজ্যকে দমানো যাবে না। এটা চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে। রাজ্যও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সংসদীয় দল ভাবনা চিন্তা করবে। দলনেত্রীর অনুমতি নিয়ে এগোনো হবে৷ বিজেপির উদ্দেশ্যে তাঁর কটাক্ষ, কদিন বাদে বাংলায় দলটায় তালা ঝুলবে।