আতঙ্কের নয়া নাম ওমিক্রন। দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কাকে সত্যি করে দিয়েছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ক্রমশই আরও চওড়া হচ্ছে তার থাবা। এই পরিস্থিতিতে এবার বাতিল করে দেওয়া হল বাজেটের আগে হালুয়া তৈরির অনুষ্ঠান। বাজেটের আগে প্রতি বছরই হালুয়া তৈরি রীতি। বাজেট তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলেই সংসদ ও অর্থমন্ত্রকের কর্মীরা, যারা বাজেট তৈরির জন্য নিরন্তর পরিশ্রম করেছেন, তাদের মিষ্টি মুখ করানো হত এই হালুয়া খাইয়ে। কিন্তু ওমিক্রন কাঁটায় এবার তার বদলে কর্মীদের কাছে পাঠানো হল মিষ্টি।
বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘কেন্দ্রীয় বাজেট তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়কে মনে রাখতে কর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিবছরই হালুয়া তৈরির রীতি রয়েছে, কিন্তু চলতি মহামারি পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই নর্থ ব্লকে অর্থমন্ত্রকের প্রধান কার্যালয়ের বেসমেন্টে এই হালুয়া তৈরির অনুষ্ঠান করা হত। কেন্দ্রীয় বাজেট তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলে, সেই দিনটিকে বিশেষ ভাবে মনে রাখতেই হালুয়া তৈরির রীতি রয়েছে। অর্থমন্ত্রী নিজে অর্থমন্ত্রকের সহকর্মীদের মধ্যে হালুয়া বিতরণ করেন। বাজেট তৈরির কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের মধ্যেও বিতরণ করা হয় হালুয়া।
উল্লেখ্য, হালুয়া তৈরি ও বিতরণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরই সংসদের কর্মীরা ‘লক-ইন পিরিয়ড’-এ প্রবেশ করেন। সরকারি গোপন তথ্য যাতে ফাঁস না হয়ে যায়, সেই কারণেই বাজেটপত্র বাইরে থেকে ছাপানো হয় না। নর্থ ব্লকের ভিতরেই যে বাজেট ছাপাখানা রয়েছে, সেখান থেকেই বাজেটপত্র ছাপানো হয়। গোপনীয়তা বজায় রাখতে এই কাজের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা নর্থ ব্লকের ভিতরেই বন্দী থাকেন, বাজেট পেশ হওয়ার পরই তারা নিজের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান। এই বন্দী অবস্থায় তাদের ফোন ব্যবহারের অনুমতিও থাকে না।