একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা। আর সেই লক্ষ্যেই গোয়ায় সংগঠন বিস্তারে আরও মনোযোগী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোঙ্কন উপকূলে জোড়াফুল ফোটাতে দু’দিনের গোয়া সফরে পরপর তিনটি জনসভা করতে চলেছেন তিনি। ২০১১ সালে বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলনেত্রী হিসেবে এই প্রথম আরব সাগরের তিরে জনসভা করতে চলেছেন মমতা।
প্রসঙ্গত, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দু’দিনের ঠাসা কর্মসূচী নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় গোয়াতে পৌঁছেছেন তৃণমূলনেত্রী। এর পরেই গোয়া তৃণমূলের তরফে বার্তা দেওয়া হয়— ‘দীর্ঘ দিন ধরে গোয়ার মানুষ মৌলিক অধিকার ও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। এখন নতুন ভোরের সময় এসেছে, গোয়াকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে।’ মমতা পানাজিতে পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টা আগেই সেখানে পৌঁছে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভাস্কো বিমানবন্দরে মমতাকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ লুইজিনহো ফেলেইরো। আজ, সোমবার বেনাউলিমে তৃণমূল নেত্রী প্রথম জনসভা করতে চলেছেন। এখন এই বেনাউলিমের বিধায়ক এনসিপি-র চার্চিল আলেমাও। কিছু দিন আগে কলকাতায় এসে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করে যান গোয়ার চার্চিল ব্রাদার্স ফুটবল ক্লাবের কর্ণধার। সেই বেনাউলিমেই তৃণমূলনেত্রী প্রথম জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চার্চিল আলেমাও-র তৃণমূলে যোগদান দিয়ে গোয়ার রাজনীতিতে ফের জল্পনা তৈরি হয়েছে। কাল, মঙ্গলবার পানাজি এবং আসানোরাতে-ও পরপর দু’টি জনসভা করবেন মমতা।