একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা। আর সেই লক্ষ্যেই গোয়ায় সংগঠন বিস্তারে আরও মনোযোগী এ রাজ্যের শাসকদল। একমাসের ব্যবধানে দু’বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়ে গোয়া সফর তারই ইঙ্গিত। নভেম্বরের পর ফের পানাজিতে পা রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এবার তাঁর সঙ্গী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দু’দিনের ঠাসা সূচী – গুরুত্বপূর্ণ মিটিং, তিনটি জনসভা। সেখান থেকে নতুন গোয়ার ডাক। বিধানসভা নির্বাচনে পালাবদলের লক্ষ্যে পুরদস্তুর নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। নতুন বছর পড়লে ৫ রাজ্যের ভোটের সূচী সামনে এসে যাবে। তার আগেই অবশ্য আরব সাগর তীরের ছোট্ট রাজ্যটিতে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। বলা বাহুল্য এর আগে মমতা আসার পর রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে তৃতীয় শক্তি হিসেবে মাথা তুলেছে তৃণমূল। বোঝা যাচ্ছে যেভাবে গোয়ায় নানা স্রোত এসে বিকল্প জোটে মিশছে তাতে মমতা আর দেরি করতে চান না। প্রচার শুরু করে বিজেপি ও কংগ্রেসকে চাপে ফেলা তাঁর কৌশল।