জাতপাতের অঙ্ক, সমীকরণে না ঢুকে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে মহিলা ভোটব্যাঙ্ককেই কি পাখির চোখ করছে কংগ্রেস? বিধানসভা ভোটে ৪০ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্তের দুদিন যেতে না যেতেই প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার বৃহস্পতিবারের নতুন ঘোষণা সেই জল্পনাই উস্কে দিল। কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত নেত্রী তথা সাধারণ সম্পাদকের প্রতিশ্রুতি, কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় এলে সব বারো ক্লাস পাস মেয়েকে স্মার্টফোন, স্নাতক পেরনো মেয়েদের ইলেকট্রনিক স্কুটি দেবে।
একটি ছাত্রীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, প্রিয়াঙ্কা জানতে চেয়েছেন, তাদের কাছে সেলফি তোলার ফোন আছে কিনা। ছাত্রীটি বলে, আমাদের কাছে ফোন নেই, কলেজে ফোন সঙ্গে রাখার অনুমতিও মেলে না। প্রিয়ঙ্কা জানতে চান, তিনি কি ঘোষণা করতে পারেন যে, মেয়েদের ফোন থাকা উচিত।
আমরা বলি, নিরাপত্তার জন্য এর চেয়ে বেশি কী চাই আমাদের। তিনি আমাদের ভাল করে পড়াশোনা করতে বলেন। আমি চাই, উনি এরকম আমাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলুন। প্রিয়ঙ্কা তাদের ‘লড়কি হু, লড় সকতি হু’-কংগ্রেসের এই স্লোগানের কথাও বলেছেন বলে জানায় ছাত্রীরা। রাজ্যের বদল, ন্যায়বিচারের দাবি, জাতপাত, ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চাওয়া মেয়েদের ক্ষমতায়নই তাঁর লক্ষ্য, জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
ট্যুইট করে প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, গতকাল কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ওরা জানায়, পড়াশোনা, নিরাপত্তার জন্য স্মার্টফোন লাগবে। আমি খুশি যে আজ উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস ইস্তাহার কমিটির সম্মতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১২ ক্লাস পাস মেয়েদের স্মার্টফোন, স্নাতক পাস মেয়েদের স্কুটি দেবে ভোটে জিতে সরকার গড়লে।
মঙ্গলবার প্রিয়ঙ্কা ৪০ শতাংশ ভোটের টিকিট মহিলাদের দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য উত্তরপ্রদেশে মোট ভোটদাতার অর্ধেকই মহিলা। সেখানে প্রিয়ঙ্কার এমন বেশ কিছু জনমোহিনী ঘোষণা প্রভাব ফেলতে পারে বৈকি! প্রিয়ঙ্কা একদল ছাত্রীর ছবি ট্যুইট করেছেন, জানিয়েছেন, ওরা তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলেছে।