আগামী নববর্ষের আগে খুলতে চলছে টালা ব্রিজ। নতুনভাবে তৈরি ব্রিজটি সামনের বছর এপ্রিলের মধ্যে খুলতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পিডব্লুউডি রেলের অনুমতি পেলে নভেম্বর মাস থেকেই স্টিলের ‘গ্রির্ডার্স’ বসানোর কাজ শুরু করবে।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন করে পিলার বসানোর কাজ শেষ। ব্রিজের ওপরের কাজও শেষ পর্যায়ে চলছে। রেলের অনুমতি পেলে আগামী মাস থেকেই ইস্পাতের গ্রিডার্স বসানোর কাজ শুরু হবে। এই কাজটিই সবথেকে জটিল। ব্রিজটি সংস্কারে খরচ হচ্ছে ৩৫০ কোটি টাকা।
ট্রালা ব্রিজ ভাঙার পর থেকে উত্তর কলকাতা ও শহরতলির মধ্যে যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা মূলত দুটি। একদিকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে কাশীপুরের লকগেট ব্রিজ হয়ে ডানলপে গাড়ি যাতায়াত করছে।
আবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শ্যামবাজার, আর জি কর রোড হয়ে পাইকপাড়ায় চলে যাচ্ছে কিছু গাড়ি। টালা ট্যাঙ্ক থেকে যে পাইপের মাধ্যমে উত্তর কলকাতায় জল সরবরাহ করা হয়, সেই পাইপ রেললাইনের নীচ দিয়ে এসেছে। আগামী দিনে রেল ওভারব্রিজ করে সেই পাইপ মাটির উপর দিয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে কলকাতা পুরসভার।
উত্তর কলকাতার সঙ্গে শহরতলির অন্যতম প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম টালা ব্রিজ। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি মাঝরাত থেকে পুরনো টালা ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় ভাঙার কাজ। চার লেনের ব্রিজে রেল লাইনের ওপরের অংশের কাজ শুরু হয়নি।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, নতুন ব্রিজ তৈরি হলে টালা ট্যাঙ্কের জল সরবরাহের পাইপেও বদল হবে। পাইপলাইনের কিছুটা অংশের জন্য রেললাইনের উপর তৈরি হবে সেতু। এই জন্য রেলের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সেতুর উপর দিয়ে দক্ষিণের দিকে দুটি পাইপলাইন আনা হবে।