মোদী-জমানায় মূল্যবৃদ্ধির প্রকোপ থেকে রেহাই নেই দেশের আমজনতার। মাত্র সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানেই আলুর দাম কিলোগ্রাম প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। আদা, রসুন হয়ে অন্য আনাজের দামের ক্ষেত্রেও তা দেখা যাচ্ছে। ২৫ টাকার চন্দ্রমুখী আলুর দাম বেড়ে প্রতি কিলোগ্রামে হয়েছে ৩৫ টাকা। জ্যোতি আলু ১৮ টাকা থেকে হয়েছে ২৫ টাকা। এই ধাক্কা সামলানোর আগেই দাম চড়তে শুরু করেছে আদা, রসুন-সহ প্রায় সব আনাজের। দিন চারেকের ব্যবধানে প্রতি একশো আদার দাম ১৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা। একই অবস্থা রসুনের দামেও। কিছু দিন আগে রসুনের দাম পৌঁছেছিল ৫০০ টাকা কেজিতে। সেই ধাক্কার পর ভাল রসুনের দাম ২০০ টাকার নীচে নামেনি সাম্প্রতিক সময়ে। তুলনায় নিম্ন মানের রসুনের একশো গ্রাম বিক্রি হচ্ছিল ১৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহের মধ্যে রসুনের দর ১৫-২০ টাকা থেকে চড়ে ২৫ টাকা, ক্ষেত্রবিশেষে ৩০ টাকা দরে প্রতি একশো গ্রাম বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনও দামের হেরফের হয়নি পেঁয়াজের। স্থানীয় পেঁয়াজ ২০ টাকা কিলোগ্রাম দরে বিক্রি হচ্ছে। ভিনরাজ্যের অবশ্য কিছুটা বেশি পেঁয়াজের দাম।
উল্লেখ্য, মূল্যবৃদ্ধিকে একেবারেই লাগাম দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তাই সুদের হার বাড়িয়ে রেখে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চাইছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দেশের অন্যতম ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ক্রিসিল দাবি করেছে, আগামী জুন পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। তার কারণ প্রখর গ্রীষ্ম এবং শুষ্ক আবহাওয়া। যেভাবে প্রায় গোটা দেশেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই চড়ে রয়েছে, তা প্রভাব ফেলবে কৃষিকাজে ও অর্থনীতিতে। তাই দাম কমবে না। ক্রিসিলের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তন কৃষিকাজে ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলেছে। আনাজপাতি উৎপাদন কমেছে খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে। এই সমস্যাগুলিতে রাশ টানতে আনাজপাতি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের সংরক্ষণ বা আমদানির চেষ্টা ভারতের মতো বড় দেশের চাহিদা মেটাতে সেই উদ্যোগ যে আদৌ তেমন কর্যকর নয়, তাও ক্রিসিল বুঝিয়ে দিয়েছে ভালভাবেই।