সোমবারই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রিয়াঙ্কার জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য বলছে, তাঁর কাছে নগদ অর্থের পরিমাণ ৩ লক্ষ ১৮ হাজার ১৮৯ টাকা। স্বামীর হাতে রয়েছে আদিত্যকুমার টিবরেওয়ালের হাতে রয়েছে ২৪ হাজার ৯০০ টাকা। একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট কয়েক লক্ষ টাকা রয়েছে তাঁদের। প্রিয়াঙ্কার নিজের রয়েছে মাহিন্দ্রা স্করপিও কার। যার বাজারমূল্য ১৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৬৯ টাকা। স্বামীর আছে রয়েছে একটি গাড়ি, তারও দাম ১৫ লক্ষ টাকার বেশি।
এছাড়া ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থীর অলঙ্কারের মধ্যে রয়েছে ৪০০ গ্রাম সোনা ও হিরের গহনা। যার দাম ১২ লক্ষ ৯২ হাজার ১৫৮ টাকা। সোনার কয়েন আছে তাঁর। সেটার দাম ৩৪ হাজার টাকা। আর রুপোর গয়না ও কয়েন মিলিয়ে অলঙ্কারের দাম ৫০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে কলকাতায় একটি ফ্ল্যাট আছে প্রিয়াঙ্কার। স্বামী ও তাঁর যৌথ মালিকানায় রয়েছে সেটি। তাঁর নিজের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৮২ লক্ষ ৩১ হাজার ২২২ টাকা। এবং স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ৫২ লক্ষ টাকা।
তাছাড়া প্রিয়াঙ্কার বাজারে দেনা রয়েছে ২২ লক্ষ ৩৫০ টাকা। সেটা একটি ব্যাঙ্ক লোন। এর আগে একুশের ভোটে কলকাতার এন্টালি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। গত ৩রা এপ্রিল প্রিয়ঙ্কা তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় জানিয়েছিলেন তাঁর মোট সম্পত্তি ৩ কোটি ৫২ লাখ ৮১ হাজার ৮৭৯ টাকা। এবং তাঁর মোট দেনার পরিমাণ ৬৫ লাখ ৭০ হাজার ২১০ টাকা।
উল্লেখ্য, এবার ভবানীপুর উপনির্বাচনে তিন প্রার্থীরই রয়েছে আইনের ডিগ্রি। এর মধ্যে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস প্র্যাকটিস করেন। অন্যদিকে ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সম্পত্তির পরিমমাণ জানিয়ে কমিশনে হলফনামা দিয়েছেন আগেই।
নির্বাচনে কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোট সম্পত্তির পরিমমাণ ১৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৪৫ টাকা। গত অর্থবর্ষের তুলনায় যা প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বেশি। পাশাপাশি মমতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ ১৩ লক্ষ ১১ হাজার ৫১২ টাকা। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী ভবানীপুর উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৯ টাকা। তাতে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর গয়নার পরিমাণের কথাও। হলফনামা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর ৯ গ্রাম ৭০০ মিলিগ্রাম অলঙ্কার রয়েছে।