একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসিয়ে ‘গেমচেঞ্জার’ হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল আইএসএফ। বাম-কংগ্রেসের জোটে সামিল হয়ে দলের প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি সিপিএম-এর কাছে চেয়েছিলেন কমপক্ষে ৩০টি আসন। কিন্তু, এখন সেই ৩০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো লোকই পাচ্ছেন না সেকুলার ফ্রন্টের নেতারা। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। যার ফলে বামেদের সঙ্গে ৩০টি আসনের সমঝোতা হলেও শেষ পর্যন্ত ২৬টি আসনেই লড়তে চলেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট।
প্রসঙ্গত, ভোট এগিয়ে এলেও সংযুক্ত মোর্চার জট যেন কাটতেই চাইছে না। প্রথমে কংগ্রেসকে আসন ছাড়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এরপর কংগ্রেস আইএসএফ-কে আসন ছাড়বে কি না তা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়। সেই জট যখন কাটল, তখন আবার নতুন করে জটিলতা তৈরি হল। প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হতে যখন মাত্র ১৫ দিন বাকি, তখনই জানা গেল যে আইএসএফ ৩০টি আসনে দেওয়ার মতো যোগ্য প্রার্থী পাচ্ছে না। যে কারণে ২৬টি আসনে তারা লড়বে বলে জানিয়েছেন আইএসএফ সভাপতি শিমুল সোরেন।
ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে সিপিএম-কে আসন ছাড়তে বাধ্য হয়েছে আইএসএফ। রঘুনাথপুর এবং শালতোড়াতেও দেখা গিয়েছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, আইএসএফ-র হাতে যোগ্য প্রার্থীই নেই সেই ৩০টি আসনে দেওয়ার মতো। প্রার্থীর অভাবের কথা ইতিমধ্যে আলিমুদ্দিনকে জানিয়েও দিয়েছে আইএসএফ। আর এরপরই সমস্যার সমাধানে সমঝোতার আসন ৩০ থেকে কমিয়ে ২৬ করা হয়।