নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনার পর বাংলাজুড়ে রাস্তায় নামল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার বেহালা, বালিগঞ্জ, সল্টলেক সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মৌন মিছিলে পা মেলালেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। বেহালায় তৃণমূল কর্মীরা মিছিল করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। বালীগঞ্জে মিছিলে হাঁটেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও ছিলেন ফিরহাদ হাকিম সহ দলের অন্যান্য নেতারা। মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিলে সামিল হন। কোথাও কোথাও ফেস্টুনে লেখা হয়, “অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেহামলার প্রতিবাদে মৌন মিছিল।”
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হলেও মনের দিকে থেকে সবল রয়েছেন। এই পা নিয়েও তিনি যে খেলতে পারেন এই আশা ভরসা বাংলার মানুষের রয়েছে। অন্যদিকে, ফিরহাদ হাকিম আঙুল তোলেন কমিশনের দিকে। বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য যে নির্বাচন কমিশনের একাংশ পক্ষপাতিত্ব করছে। তা না হলে ৮ দফায় ভোট হতো না। তা না হলে ডিজি এডিজি বদল হতেন না। সরকারি লোকদের মনবল এভাবে ভেঙে দেওয়া হতো না। আমাদের আরও দুর্ভাগ্য যে বিজেপি আর কোনও প্রতিষ্ঠানকে নিরপেক্ষ রাখল না। জেনে রাখবেন আহত বাঘ আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যত আঘাত করবা হবে ততই তিনি সক্রিয় হবেন।”
শুক্রবার সল্টলেকে মৌন মিছিল করল তৃণমূল। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিধাননগর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুজিত বোস। উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর পুর নিগমের প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী সহ প্রাক্তন কাউন্সিলররা। সল্টলেকের পিএনবি মোড় থেকে করুণাময়ী মোড় পর্যন্ত এই মিছিল হয়। তৃণমূল কর্মীদের হাতে ছিল দলীয় পতাকা ও কালো পতাকা। মৌন মিছিল হল কৃষ্ণনগর শহরেও। মিছিলটি আজ বিকেলে শহর পরিক্রমা করে পোস্ট অফিস মোড়ে শেষ হয়। মিছিলে ছিলেন প্রাক্তন পুরসভা চেয়ারম্যান অসীম সাহা এবং শহরের তৃণমূল সভাপতি শিবু চৌধুরী সহ অন্যান্যরা। মিছিলটি কৃষ্ণনগর পুরসভা থেকে বেরিয়ে এ ভি স্কুলের মোড় ঘুরে নেদের পাড়া ঘুরে পোস্ট অফিস মোড়ে শেষ হয়। বুকে কালো ব্যাজ লাগিয়ে ও মুখে কালো কাপড় পড়ে প্রতিবাদ মিছিল করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। বীরভূমের রামপুরহাটে প্রতিবাদ মিছিল করেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকেরা। এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।