অপেক্ষার অবসান। শুক্রবার সন্ধেয় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল থেকে হুইলচেয়ারে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন তিনি। ভোটের মুখে আগামী সপ্তাহ থেকে ফের দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে পারেন তিনি। হুইলচেয়ারে বসেই প্রচার শুরু করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেই কারণে তাঁর জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ চটি।
আজ এসএসকেএমের মেডিক্যাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অবস্থার উন্নতি হয়েছে। নতুন করে প্লাস্টার করা হয়েছে। পায়ের ফোলাভাব অনেকটা কমেছে। চিকিৎসকরা আরও ৪৮ ঘণ্টা রাখতে চেয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলায় ছুটি দেওয়া হচ্ছে। সাতদিন পর ফের তাঁর পরীক্ষা করা হবে। আপাতত বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হবে তাঁকে। ফিরহাদ হাকিম এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বাড়ি ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে হুইলচেয়ারে বসার জন্য তাঁকে বিশেষ জুতো পরার পরামর্শ দেওয়া হলেও মুখ্যমন্ত্রী নাকি চপ্পলই পরতে চেয়েছিলেন। সেই কারণে তাঁর জন্য বিশেষ চটি তৈরি হয়েছে। আঘাত পাওয়া স্থানে যাতে যন্ত্রণা না হয়, সেভাবেই তৈরি এই চটি।
উল্লেখ্য, বুধবার নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সন্ধের দিকে বিরুলিয়ায় মন্দির দর্শনে গিয়ে জখম হন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দিরের কাছে ভিড়ের চাপে বাঁ পায়ে ব্যাপক চোট লাগে তাঁর। তীব্র যন্ত্রণায় গাড়িতে কাহিল হয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি গ্রিন করিডর করে নন্দীগ্রাম থেকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। বুধবার রাতেই ভরতি করানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। ৬ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা শুরু করে।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বেড থেকেই রাজ্যবাসীকে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, একটু কষ্ট হবে। কিন্তু প্রয়োজনে হুইলচেয়ারে বসেই নির্বাচনী প্রচারে নামবেন। পাশাপাশি সকলকে শান্ত থাকার বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। এদিন সকালে আবার তাঁকে দেখতে এসএসকেএমে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাও। তবে আজই তাঁকে ছাড়া হবে কি না, তা তখনও স্পষ্ট ছিল না। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত দলের কর্মী-সমর্থকরা। দ্রুত দিদিকে স্বমহিমায় দেখা যাবে বলেই আশাবাদী কর্মী ও সমর্থকেরা।