চলতি মরসুমে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি এবং বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলার ভরাডুবির পিছনে ক্রিকেটারদের সাহসের অভাব দেখছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলা ক্রিকেট দলের প্রশিক্ষক অরুণ লাল ক্ষুব্ধ দলের ফিটনেস নিয়ে।অনুষ্টুপ মজুমদার, অভিমন্যু ঈশ্বরণদের ব্যর্থতার কারণ পর্যালোচনা করতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিলেন সিএবি কর্তারা। সেখানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি এক ঘণ্টা ছিলেন। তবে বৈঠক চলেছে তিন ঘণ্টারও বেশি। সৌরভ বেরনোর আগে বলে যান, দলের মধ্যে এ বার সাহসের অভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। তা তড়িঘড়ি সংশোধন করা প্রয়োজন।
এদিনের বৈঠকে দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক অনুষ্টুপ এবং অভিমন্যু ছাড়াও কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া এবং সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন। সভায় সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে ফিটনেসের ওপর। অরুণ লাল বলেন, “নেটে অনুশীলনের সময় আমাদের বোলাররা চার-পাঁচ ওভারের বেশি বলই করতে পারছে না। তাহলে ৫০ ওভারের ম্যাচে এরা ১০ ওভার করবে কী করে? করতে পারছেও না।” দীর্ঘ লকডাউনের জন্য ফিটনেসে কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করায় অরুণ লাল বলেন, “লকডাউন তো সব জায়গায় ছিল। অন্য দলগুলোর ফিটনেসে তো তার কোনও প্রভাব পড়েছে বলে মনে হল না।” অভিষেক বলেন, “গোটা বিশ্বের ক্রীড়াবিদরা লকডাউন কাটিয়ে খেলাধুলোয় ফিরেছে। বাংলা তো বিশ্বের বাইরে নয়। আমাদেরও সেটা করতে হবে।”
শেষমেশ সভায় ঠিক হয়েছে, যাঁরা ফিটনেসের মাপকাঠি পূরণ করতে পারবেন না, তাঁদের দলে জায়গা হবে না। এর আগেও অরুণ লাল ফিটনেস নিয়ে কড়া হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের সমর্থন পাননি। বরং অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন। এ বার তা হতে দেওয়া হবে না। অভিষেক জানিয়েছেন, কোনও ক্রিকেটারের সমস্যা হলে তিনি স্নেহাশিসের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। কিন্তু কোনও ভাবেই নেটমাধ্যম বা সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা যাবে না। ফিটনেস ছাড়াও জোর দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের মানসিক ভাবে শক্তিশালী করে তোলার দিকে। লকডাউনের জেরে বেশিরভাগ দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। মাঠে ফিরেও তাঁরা সে ভাবে মানিয়ে নিতে পারছেন না। পাশাপাশি ঠিক হয়েছে এ বার থেকে বাংলা কোথাও খেলতে গেলে শুধুমাত্র কোচ এবং সহকারী কোচেরা যাবেন। বাকিরা ‘ভিশন ২০২৫’-এর দায়িত্বে থাকবেন। যদি কোনও দরকার হয়, ডেকে নেওয়া হবে তাঁদের।