টেস্ট সিরিজে দাপটের সাথে জিতলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ভারত। দীর্ঘদিন বাদে ঘরের মাঠে সীমিত ওভারের ক্রিকেট ফিরলেও হতাশ হতে হল মোতেরায় স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের। প্রথম ম্যাচে ভারতকে হারতে হল ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। মাত্র ১৫.৩ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে ফেলল ইংরেজরা।
উল্লেখ্য, টেস্ট সিরিজে আহমেদাবেদের স্পিন-সহায়ক পিচ নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার আহমেদাবাদের পিচের চরিত্র ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। পেস-সহায়ক পিচে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। এদিন ফর্মে থাকা রোহিত শর্মাকে বিশ্রাম দিয়ে ধাওয়ানকে সুযোগ দেয় ভারত। ওপেন করেন রাহুলও। কিন্তু আর্চারের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ পেস ব্যাটারির সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ। বিশ্বকাপের মহড়ার ম্যাচে ব্যর্থ হন রাহুল (১), ধাওয়ান (৪), বিরাট (০)। শ্রেয়স আইয়ার ৪৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস না খেললে আরও লজ্জাজনক ভাবে হারতে হত ভারতকে। শ্রেয়স ছাড়া আর মাত্র দু’জন ভারতীয় ব্যাটসম্যান পেরোন ১০ রানের গণ্ডি। এঁরা হলেন পন্থ (২১) এবং হার্দিক (১৯)। যার ফলে ভারতের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১২৪ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দাপটে খেলে ইংরেজরা। মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে সাড়ে চার ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তাঁরা। ইংল্যান্ডের হয়ে রয় ৪৯, বাটলার ২৮ এবং বেয়ারস্টো ২৬ রানের ইনিংস খেলেন।
এদিন হারের পাশাপাশি লজ্জার রেকর্ড গড়লেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ভারত অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ১৪ বার শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। যা কিনা রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ড ছিল সৌরভের দখলে। তবে, কোহলির লজ্জার দিনে ব্যক্তিগত সাফল্য পেয়েছেন চাহাল। ফের বুমরাকে টপকে ভারতের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হলেন তিনি। তাঁর দখলে ৬০টি উইকেট। বুমরা নিয়েছেন ৫৯টি।