গত ২৩ মার্চ থেকে চলা দেশজোড়া লকডাউনের মধ্যেই অধিকাংশ কল-কারখানায় তালা পড়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির উৎপাদন ও আয়, দুই-ই কমেছে। সূত্রের দাবি, এর ফলে রাজ্য সরকারের অধীন বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি কয়লার দাম না-মেটানোয়, তাদের থেকে কোল ইন্ডিয়ার পাওনা বিপুল বেড়ে ২২ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, এর জেরে আর্থিক সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে কোল ইন্ডিয়া। ভারত কোকিং কোল, ওয়েস্টার্ন কোলফিল্ডস এবং সেন্ট্রাল কোলফিল্ডসের মতো তাদের শাখা সংস্থায় কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য বিধিবদ্ধ পাওনা মেটানোর নগদেও ইতিমধ্যেই টান পড়েছে।
সূত্রের খবর, এমন পরিস্থিতিতে কোল ইন্ডিয়া কার্যত সাঁড়াশি চাপে। করোনার আবহে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাতে ব্যাঘাত না-ঘটে, তা নিশ্চিত করতে হচ্ছে। ফলে ওই সব সংস্থায় কয়লার জোগান কমিয়ে টাকা আদায়ের জন্য চাপও দেওয়া যাচ্ছে না। অথচ বকেয়া কবে মিলবে তা একপ্রকার অনিশ্চিত। তার উপর কয়লার চাহিদাও এই মুহূর্তে আগের থেকে অনেক কম। কোল ইন্ডিয়ার এক কর্তার আক্ষেপ, বর্তমান পরিস্থিতিতে বকেয়া টাকা কবে আদায় হবে, তার নিশ্চয়তা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকেই বলছেন, সেপ্টেম্বরের আগে অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
কোল ইন্ডিয়ার উৎপাদিত কয়লার ৮০ শতাংশই কেনে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলি। বাকি ২০ শতাংশের ক্রেতা ইস্পাত তৈরির মতো সংস্থা। কিন্তু সকলেই এখন কয়লা কিনছে কম। গত এপ্রিল, মে, জুনে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলিতেও জোগান কমেছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ। এরফলে খনিমুখে জমছে কয়লার পাহাড়। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দেশে উৎপাদন শিল্পে কাজকর্ম এখনও ঝিমিয়ে থাকাই এর কারণ।
