৬৫ বছরের বেশি বয়সের ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন পোস্টাল ব্যালটে। বৃহস্পতিবার বিহারের রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই বিহারের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে প্রতিটি বুথে ১০০০ ভোটারের বেশি আসতে পারবেন না। সেই সঙ্গে পোলিং বুথের পরিমাণও বৃদ্ধি করা হবে। সেই নিয়েই কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নির্বাচন সংগঠিত করার সংশোধনী প্রস্তাব, ২০২০ নামে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, ৬৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষেরা ও করোনা আক্রান্তরা যাঁরা হোম বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন, তাঁরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
করোনা রোগী বা সংক্রমিত বলে সন্দেহ, এমন সকলকে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলেরই আপত্তি নেই। কিন্তু ৬৫ বছরের উপরে সকলকেই পোস্টাল ব্যালটে ভোটের সুযোগ দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরের প্রশ্ন – এতে অবাধ ভোট নিশ্চিত করা যাবে তো?
কেন্দ্রের যুক্তি, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কেন রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নিল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারে ভোট। তার পরে ২০২১-এই বাংলার বিধানসভা ভোট। তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনার পরে নির্বাচন কমিশনের কাছেও এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হতে পারে।
ণমূল সূত্রের খবর, করোনা-আক্রান্তদের ক্ষেত্রে পোস্টাল ব্যালটের সুযোগ দেওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু তাঁদের বাইরে ৬৫ বছরের বেশি সকলের জন্যই পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা হলে, অবাধ ভোটদান নিশ্চিত করা কত দূর সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় থাকছে। কোটি কোটি বয়স্ক ভোটারদের ভোট কাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হবে। তা ছাড়া কারও সঙ্গে আলোচনা না-করে নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বলেও তৃণমূল নেতাদের মত।