বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া ১৫১টি ট্রেনের মধ্যে বাংলার ১৫টি রুটের দূরপাল্লার ট্রেন রয়েছে। রেল জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সংস্থা ওই ট্রেন চালাতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া ডাকার কাজ শুরু করে দিতে চাইছে রেল। তবে কোন কোন সংস্থা আগ্রহী, তা তারা জানায়নি।
বাংলার যে ১৫ টি ট্রেন বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল, ১। রাঁচী ভায়া পুরুলিয়া ২। হাওড়া-পুণে ৩। হাওড়া-চেন্নাই ৪। হাওড়া-পুরী ৫। হাওড়া-রাঁচী ৬। নিউ বঙ্গাইগাঁও-হাওড়া ৭। হাওড়া-আনন্দবিহার(দিল্লী) ৮। হাওড়া-বারাণসী ভায়া পটনা ৯। শিয়ালদহ-গুয়াহাটি ১০। হাওড়া-ভাগলপুর ১১। আসানসোল-পুরী ১২। আসানসোল-সুরাত ১৩। হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ১৪। হাওড়া-বেঙ্গালুরু এবং ১৫। হাওড়া-মুম্বই।
রেল মন্ত্রকের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে রেলের ঘরে প্রায় ত্রিশ হাজার কোটি টাকা ঢুকবে। ওই উদ্যোগকে বেসরকারিকরণের অভিমুখে বড় মাপের পদক্ষেপ বলছেন রেলের কর্মী সংগঠনের নেতৃত্ব। আর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কথায়, ‘সরকার গরিবের জীবনরেখা রেলকে ছিনিয়ে নিচ্ছে।’
গত ডিসেম্বর মাসে রেলের ১৫১টি ট্রেনকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নীতি আয়োগ।ওই প্রকল্পে কারা আগ্রহী, গতকাল তা জানতে চায় রেল। ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ‘বেসরকারি ট্রেনকে জায়গা করে দিতে সরকারি ট্রেনকে ক্রমেই পিছনের সারিতে ঠেলে দেওয়ার যাবতীয় পরিকল্পনা সেরে ফেলা হয়েছে। সে কারণে টিকিটের চাহিদা ১৫০ শতাংশের কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও ট্রেন তুলে দিয়ে বেসরকারি সংস্থাকে সেখানে ঢুকতে সাহায্য করা হচ্ছে।’