বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, রাতের অন্ধকারে ইভিএম বদল করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে আলোকপাত করুক। মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি শুনে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
একে ৪৭, এসএলআর নিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি। মালতীপুর বিধানসভার সামসিতে জনসভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে এমনই অভিযোগ তোলেন তিনি। আর এই অভিযোগ সরাসরি বিএসএফের বিরুদ্ধে তুলেছেন প্রসূণবাবু। এই নিয়ে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এখন বাংলার প্রত্যেকটি জেলায় জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না বিজেপি। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এমন সব কাজ করছে গেরুয়া শিবির বলে অভিযোগ শাসকদলের। তবে নির্বাচনী জনসভায় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি ওল্ড মালদার মাঠে বলেছিলাম একে ৪৭, এসএলআর দিয়ে ভয় দেখাবেন না। কিন্তু সেটাই হচ্ছে। বৈদ্যপুর, ঋষিপুর, জাজইল–সহ নানা জায়গায় এভাবেই ভয় দেখানো হচ্ছে। আজ আমি সবাইকে বলছি, থানায় যাবেন। অভিযোগ জমা দেবেন। সীমান্তে যাঁরা পাহারা দিচ্ছেন, তাঁদের আমি সম্মান করি। আপনি আপনার কাজ করুন।
ভরা সমাবেশে এমন অভিযোগ শুনে সকলে চমকে যান। আসলে তিনি পুলিশ অফিসার ছিলেন। তাই গোটা জেলা যেমন তাঁর পরিচিত তেমন এইসব বিষয়ও ভাল বোঝেন তিনি। এই বিষয়ে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘এই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো শুরু হয়েছে। সেইসব অভিযোগ আমি জমা করেছি। আর তাই আমরা দাবি করছি, এক জেলাতে ৩ বছরের বেশি কর্মরত সমস্ত প্যারামিলিটারি ফোর্সকে বদলি করতে হবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। আদর্শ আচরণবিধির নিয়ম অনুযায়ী এই জেলাতে তিন বছর যাঁরা আছেন এবং সীমান্ত পাহারা দিচ্ছেন তাঁদের সবাইকে বদলি করতে হবে। কারণ নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে দিচ্ছে না ওরা।’