চেন্নাই থেকে কোয়েম্বাটোরগামী বিমানের এক যাত্রীর শরীরে মিলল মারণ ভাইরাস। কোয়েম্বাটোরে অবতরণের পর তাকে পরীক্ষা করা হয়। তারপর রিপোর্ট আসতেই জানা যায় তিনি করোনা পজিটিভ।
জানা গেছে ওই যাত্রী বিমান সংস্থারই কর্মী। এর ফলে আরও আতঙ্ক বেড়েছে।
সোমবার ইন্ডিগোর সিক্সই ৩৮১ ফ্লাইটে চেন্নাই থেকে কোয়েম্বাটোর আসেন ওই যাত্রী। বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর সমস্ত যাত্রীরই করোনা পরীক্ষা করা হয়। তখনই বিষয়টি ধরা পড়ে। প্রথমে তাঁকে কোয়েম্বাটোরের বিনায়ক হোটেলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়। রিপোর্ট আসার পর তাঁকে ইএসআই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁর সহযাত্রীদের থাকতে হবে হোম কোয়ারান্টাইনে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র ঘরোয়া উড়ান চালু করতে বদ্ধপরিকর থাকায় তামিলনাড়ু সরকার নির্দেশিকা জারি করেছে, তাতে চেন্নাই ছাড়া কোয়েম্বাটোর, মাদুরাই ও তিরুচিরাপল্লিতে বিমান ওঠানামায় সম্মতি জানানো হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে ও ই-পাস থাকতেই হবে। না হলে শহরে ঢোকার অনুমতি মিলবে না।
ঘরোয়া বিমান পরিষেবা ও শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা সংক্রমণের আতঙ্কে যেন ঘি ঢেলেছে। পশ্চিমবঙ্গ ইতিধ্যেই জানিয়েছে, এর ফলে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই রাজ্য শুরুতে ঘরোয়া উড়ান চালু করতে সম্মতি দেয়নি। তবে ২৮ মে থেকে উড়ান শুরু হবে কলকাতা ও বাগডোগরা থেকে। তার জন্য রাজ্য নিজস্ব নিরাপত্তাবিধি তৈরি করেছে। বিমানবন্দরের মধ্যেই ব্যবস্থা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনের।