দেশের সামরিক প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণকে আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য মঙ্গলবার দেশের সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) উদ্দেশে শি-র স্পষ্ট বার্তা, “অতিশয় খারাপ পরিস্থিতির কথা আগাম ভেবে রেখে, সেই অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি বাড়াতে হবে। যাতে দ্রুততার সঙ্গে এবং দক্ষতার সঙ্গে সব রকম জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। আর তার মাধ্যমে দৃঢ়তার সঙ্গে রক্ষা করা যায় দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও স্বার্থকে।”
চীন লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) ওপারে সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন বাড়ালে ভারতও পাল্লা দিয়ে সেনা মোতায়েন বাড়াবে। আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভারতের যে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ নিয়ে চিনা সেনা আপত্তি তুলেছে, তা-ও চালিয়ে যাওয়া হবে।
ভারত-চীন সীমান্তের তিনটি সেক্টরই এখন উত্তপ্ত। গত ৫ মে থেকেই পশ্চিম ভাগে বা ওয়েস্টার্ন সেক্টরে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাত চলছে। ‘ফিঙ্গার থ্রি’ ও ‘ফিঙ্গার ফোর’-এর মধ্যে রাস্তা তৈরির কাজে চীন প্রথম আপত্তি তোলে। একই সঙ্গে গালওয়ান ভ্যালির সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তার কাজেও চিনের আপত্তি। ৫ মে রাতে পূর্ব লাদাখের প্যাঙ্গং লেকের কাছে চীন ভারতীয় সেনার নজরদারি বাহিনীকে বাধা দেয়। তার পর থেকেই ওই দু’টি এলাকায় দু’দেশের সেনা পরস্পরের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পূর্ব ভাগে বা ইস্টার্ন সেক্টরের উত্তর সিকিমেও এ মাসের শুরুতে দুই সেনাবাহিনীর সংঘাত বেধেছে। সাধারণত সেন্ট্রাল সেক্টরের উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশের অংশ শান্ত থাকে। কিন্তু সেখানেও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে।