ত্রিলোক কুমার পরিযায়ী শ্রমিক। গোরখপুর থেকে গুজরাটে গিয়ে কাজ করতেন। কাজ বন্ধ কিন্তু পায়ের রক্ত কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। হাতে রাখা আধা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে রক্তমাখা পা মুছে ফের চলছেন পথ। কাতর ভাবে চাইছেন একজোড়া চপ্পল।
বয়স ৩২ হলেও, ক্লান্তি মাখা মুখে বয়স বোঝা দায় ৷ যখনই সুযোগ পাচ্ছেন ত্রিলোক, গাছের তলায় একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন। বিস্কুট, মুড়ি, চিঁড়ে বার করে গালে ফেলছেন। তারপর ফের হাঁটছেন। এটা আমাদের ভারতবর্ষ৷ এদেশে শ্রমিকদের শ্রম নেওয়া হয়, কিন্তু তাদের জীবনের দাম দেওয়া হয় না।
ত্রিলোক জানিয়েছেন, “আমার পায়ে ফোস্কা পড়েছে, রক্ত বের হচ্ছে ৷ তবুও আমাকে হাঁটতে হবে এখনও প্রায় ৩০০ কিমি ৷ তবে খাওয়া-দাওয়া পাচ্ছি ৷ রাস্তায় অনেকেই খাওয়া-দাওয়া দিচ্ছে, কিন্তু এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমার ছেঁড়া চটি ৷ কেউ যদি একটা পুরনো চপ্পলও দিত, তাহলে অন্তত, বাকি পথটা হেঁটে দিতাম ৷ জানি না এই রক্তাক্ত পা নিয়ে কতদূর হাঁটতে পারব”!
করোনার লকডাউনে আজ কাজ তো বন্ধ ৷ কিন্তু কতদিন আর অন্য জায়গায় বন্দি হয়ে থাকা যায়৷ শ্রমিক ট্রেনে নামও লিখিয়ে ছিলেন, কিন্তু তাঁর নাম ডাকা হয়নি ৷ তাই নিরুপায় হয়েই গুজরাট থেকে পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন তিনি।