অধিকারী পরিবারের সম্পত্তির হিসাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ওঁকে জিজ্ঞাসা করুন হলদিয়ায় কী কী আছে ওর? নন্দীগ্রামে কী কী রয়েছে? ক’টা পেট্রোল পাম্প? সব জিজ্ঞাসা করুন। জিজ্ঞাসা করুন টাকা কখনও নেয়নি? কিন্তু উত্তর পাবেন না। পকেটে বোমা নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
কংগ্রেস যখন করতাম, ও তিন বার দাঁড়িয়েছে, প্রতিবার আমি এসেছি। ও গোহারা হেরেছে। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ মমতার। মমতা বললেন, ‘‘বাবা মন্ত্রী হবে বলে ওর গুস্সা হয়েছিল। বাবা মন্ত্রীর শপথ নিলেও তাই ও সেখানে যায়নি। এঁদের কাছ থেকে শিক্ষা নেব?’’
অধিকারী পরিবারকে নাম না করে আক্রমণ মমতার। বললেন, একবার কথাচ্ছলেই বলেছিলাম, ‘‘হ্যাঁ রে আমাদের সরকার না থাকলে দিঘায় আমাদের ঢুকতে দেবে তো? আমি ভাবছি দিঘায় একটা বাড়ি বানাবো। শুনে বাবু রেগে মেগে গাড়ি থেকে নেমে গেল। আমি ছিলাম, ও ছিল, আর এক সাংবাদিক ছিল সেদিন গাড়িতে।’
প্রাক্তন বিচারপতিকে আক্রমণ মমতার। বললেন, আমাকে পদত্যাগ করতে বলার আগে নিজে দেহত্যাগ করুন! আগে নিজের লজ্জা ঢাকুন আপনি বিচারালয়ের কলঙ্ক। মমতা বললেন, ‘‘এখানে যিনি বিজেপি প্রার্থী তিনিই প্রথম সই করেছিলেন চাকরি যাওয়ার কাগজে। উনি বিচারকের আসনে বসে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। নিজেই বলেছিলেন যোগাযোগ রাখতেন। তো এঁকে আমি কী বলব, যিনি বিচারকের আসনে বসে বিজেপি করতেন! তাকে বিতাড়িত করে দিন। আর তার নামটাও ঠিক করে দিন।’’