ফের গুরুংয়ের ছবি ভাইরাল। এবার খোদ বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে। জানা গেছে, নাড্ডার ছেলের বিয়ের রিসেপশনে হাজির ছিলেন পলাতক বিমল গুরুং। সঙ্গে ছিলেন রোশন গিরিও। রীতিমতো ঝকঝকে দেখাচ্ছিল দু’জনকেই। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি এখন খবর।
এব্যাপারে কলকাতায় মেয়র ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘এরা দু’জনেই পুলিশের খাতায় ফেরার। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা চলছে। অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া বিজেপির সংস্কৃতি।’ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘কে কাকে নিমন্ত্রণ করেছেন, কে কোথায় গেছেন, আমাদের বিচার্য বিষয় নয়। আমরা রাজনৈতিকভাবে যা করছি, মানুষ দেখছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার উন্নয়ন করে চলেছেন।’ সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিমল গুরুং এবং রোশন গিরি আইনের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কখনও নেপালে বা অন্য কোনও জায়গায় গিয়ে লুকিয়ে থাকছেন। তারাই আবার বিজেপি নেতা জে পি নাড্ডাকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলছেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন। বিয়ে বাড়িতে রিসেপশন দিচ্ছেন। যার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। যে ভারতবর্ষের মধ্যে ভাগ করতে চেয়েছে। যারা গোর্খাল্যান্ডের নাম করে নেপালের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে। যারা সর্বদাই এই একই প্রচেষ্টা করছে। সেই পলাতক লোকজনকে বিজেপি–র সভাপতি আশ্রয় দিচ্ছে।’
এই ছবি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাহাড় জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আদৌ কোনও ‘ফেরার’ অপরাধী এভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, দার্জিলিঙে দেড়শোরও বেশি মামলা রয়েছে বিমল গুরুং–রোশন গিরিদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইউএপিএ ধারায় দায়ের করা মামলাও রয়েছে। ২০১৭ সালের শেষ দিক থেকেই ফেরার আছেন তাঁরা। একাধিকবার গুরুংয়ের জামিনের আর্জি খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিনয় শিবিরের সহ সভাপতি সতীশ পোখরেল জানিয়েছেন, ‘এতদিন জঙ্গলে থাকার কথা বলে সবার সমবেদনা আদায়ের চেষ্টা করেছেন। এবার প্রকাশ্যে আসা ছবিতে দেখা গেল ভালই আছেন তিনি। এই ছবি নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। যাঁরা পাহাড়ের মানুষকে প্রতারণা করেছেন, মানুষ তাঁদের ভুলে গেছে।’