সংশধিত নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে দিল্লীর শাহিনবাগে যে বিক্ষোভ চলছে, তা কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল হয়েছিল জানুয়ারির শেষে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুনানি থাকলেও দেশের শীর্ষ আদালত দিল্লীর ভোটের কারণ দেখিয়ে পিছিয়ে দেয়। সোমবার সেই শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘জনগণের রাস্তা আটকে দিনের পর দিন বিক্ষোভ চলতে পারে না।’ প্রশ্ন তুলে আদালত বলে, ‘কী ভাবে শহরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে?’
এদিন শাহিনবাগ মামলার শুনানি শেষে আদালত নোটিস পাঠায় দিল্লী পুলিশ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও দিল্লী সরকারকে। তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘কী ভাবে এটা দিনের পর দিন চলছে?’ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার ফের শুনানির দিন ঠিক করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে দিল্লী আদালতে শাহিনবাগের অবস্থান বিক্ষোভের বিরুদ্ধে আবেদন করেন আইনজীবী অমিত সাহানি। গত ১৪ জানুয়ারি ওই মামলার শুনানিতে দিল্লী আদালত জানায়, বৃহত্তর জনস্বার্থে এবং দিল্লীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীর পুলিশের উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। পরবর্তী সময়ে ওই মামলাটিও পাঠানো হয় সুপ্রিম কোর্টে। এছাড়া বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক নন্দ কিশোরও শাহিনবাগের আন্দোলনের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার জারির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান।
ইতিমধ্যেই শাহিনবাগ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে দিল্লীর রাজনীতিতে। বিরোধী দলগুলি যখন এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে, তখন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের একাধিক নেতা-মন্ত্রী এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন। বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের গুলি করা উচিত। সেই মন্তব্য নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। তারপর ওই আন্দোলনমঞ্চের সামনে শূন্যে গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে।
এই পরিস্থিতিতে দিল্লীর ভোট মিটে যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন দেখার আদালতের কথা শুনে দিল্লীর প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়। তারপর আন্দোলনই বা কোন দিকে মোড় নেয়।