কেন্দ্রের জনবিরোধী পদক্ষেপ এনআরসি-সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রথম দিন থেকেই সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। মমতার নেতৃত্বে সরব গোটা বাংলা। নিজেদের অবস্থান থেকে যে দল এতটুকুও সরছে না, শাহের মন্ত্রকের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়ে সেই বার্তাই দিলেন মমতা।
সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআরের বিরোধিতায় অনড় তৃণমূল। দলের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হল নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। বয়কট করা হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সফর কর্মসূচি। আসন্ন বাজেট অধিবেশনের আগে তৃণমূলের এই অসহযোগিতার বিশেষ রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মন্ত্রকের সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট সদস্য সংখ্যা ৩১। তৃণমূলের তরফে লোকসভা থেকে কমিটিতে রয়েছেন কাকলি ঘোষদস্তিদার, রাজ্যসভা থেকে মণীশ গুপ্ত।
কেন্দ্রের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে কর্মসূচী বয়কট করেছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ। চিঠি লিখে তা জানিয়ে দিয়েছেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আনন্দ শর্মাকে।
কাকলি ঘোষদস্তিদার জানিয়েছেন, ‘সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর আমদানি করে আম জনতার জীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে মোদদী সরকার। সবটাই হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর তত্ত্বাবধানে। তাই দলনেত্রীর নির্দেশে আমরা বৈঠক ও সফর বয়কট করেছি। নীতিগত কারণেই বয়কট।’