সিএএ নিয়ে বিভ্রাট চলছিলই। ভোটের মাঝেই ফের নতুন বিপাকে বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। কল্যাণী বিধানসভার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বিগত পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা সাংসদ শান্তনুর দেখা পানন। সাধারণ মানুষের জন্য তিনি কিছু না করলেও, নির্বাচন আসতেই ভোট চাইতে হাজির হয়েছেন তিনি। সোমবার দেখা গেল তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল বনগাঁ লোকসভার অধীনে থাকা কল্যাণী বিধানসভার দক্ষিণ চাঁদামারি, শিমুরালি, মদনপুর-সহ বিভিন্ন অঞ্চলে। অবশ্য পরে তা সরিয়ে ফেলে শান্তনু ঠাকুরের সমর্থকরা। প্রতিটি পোস্টারের নিচে লেখা ছিল, “প্রচারে হতভাগা জনগণ।” এক একটি পোস্টারে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে এক এক রকমের অভিযোগ তোলা হয়েছে। কোনওটিতে লেখা, “বিগত পাঁচ বছরে আমরা এমপি সাহেবের থেকে কি কি পেলাম? শুধু ধোকা আর অবহেলা।” কোনটায় আবার লেখা, “৫ বছর কেটে গেল, এমপি সাহেব কোথায় ছিল? সময় ঘুরে ভোট এল, এমপি সাহেব ফিরে এল।” প্রতিটি পোস্টারে শান্তনুর একটি ব্যঙ্গাত্মক ছবিও ছাপানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিএএ’র মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য এ রাজ্যের একজনও আবেদন করেননি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই তথ্য সামনে আসার পর বেশ বিপাকে পড়েছে বিজেপি। বিশেষ করে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে, যেখানে সিএএ’র উপযোগিতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি গলা ফাটাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এই আবহে গাইঘাটা এলাকায় ভোট প্রচারে গিয়ে সোমবার বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের দাবি, ইতিমধ্যে ১০ হাজার মতুয়াভক্ত সিএএ’তে আবেদন করেছেন। বিজেপি প্রার্থীর এই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। “সিএএ নিয়ে শান্তনু ঠাকুর এখনও মতুয়াদের ভুল বোঝাচ্ছেন। তিনি নিজে যেখানে আবেদন করেননি, সেখানে অন্যদের আবেদন করার কথা কেন বলছেন? এসব ভুলভাল কথা। উনি, একজন মতুয়াভক্ত দেখান, যিনি সিএএ’তে আবেদন করেছেন”, সাফ জানিয়েছেন তিনি।