সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা অতর্কিত হামলা৷ মোদী সরকারের সৌজন্যে এই শব্দটা এখন বেশ জনপ্রিয়৷ রবিবার রাতে জওহর লাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হোস্টেলে শ’খানেক দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সঙ্গে তুলনা করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন৷ মঙ্গলবার তাঁর কথা প্রতিধ্বনিত হল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ- উপাচার্য চিন্তামণি মহাপাত্রর মুখে৷ উল্লেখ্য ২০১৬ সালে প্রথম পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল মোদী সরকার৷ সেই প্রসঙ্গ টেনে সহ- উপাচার্য সাফ জানান, ‘গত রবিবার রাতে জেএনইউ হামলার ঘটনা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়৷’ তাঁর সোজা কথা, ‘এইসব হামলাবাজদের মধ্যে বেশিরভাগ বহিরাগত৷’
গত রবিবার রাতে জেএনইউর ভেতরে সবরমতী মহিলা হোস্টেলে প্রায় শ’খানেক শসস্ত্র দুষ্কৃতী ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছিল৷ জেএনইউর ছাত্র সাংসদ এখন বামেদের দখলে৷ হামলাবাজদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল এইসব বাম ছাত্র-ছাত্রীরা৷ বাম ছাত্র সংগঠন হামলার জন্য সরাসরি বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ( এবিভিপি)কেই দায়ী করেছিল৷ স্বাভাবিকভাবে এই দায়ে অস্বীকার করেছে এবিভিপ৷ তাদের পাল্টা জবাব এইসব ঝামেলার মূলে বাম ছাত্র সংগঠন৷ দুপক্ষই তাদের সমথর্নে ভিডিও প্রকাশ করেছে৷
এমন পরিস্থিতিতে এক মৌলবাদী হিন্দু সংগঠন মঙ্গলবার এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে৷ তবু কর্তৃপক্ষর অভিযোদের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসা ছড়ানোর অপরাধে বাম ছাত্র সংগঠনের প্রধান ঐশী ঘোষের নামে এফআইআর করেছে দিল্লী পুলিশ৷ সম্প্রতি পুলিশি তদন্তে অবশ্য দুই পক্ষকেই এই হামলার জন্য অভিযুক্ত করেছে৷