আজ ভোররাতে এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে তেলেঙ্গানা ধর্ষণকান্ডের ৪ অভিযুক্ত। এই ঘটনায় এক পক্ষ খুশিতে মগ্ন। হায়দ্রাবাদ পুলিশকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছে জনগণ থেকে জননেতারা। অন্যপক্ষ অবশ্য চোখের সামনে দেখছেন গণতন্ত্রের সমুহ বিপদ। এই ৪ অভিযুক্ত শুক্রবার হায়দ্রাবাদ পুলিশের হাতে নিকেশ হওয়ার পর রীতিমতো দ্বিধাবিভক্ত দেশ। এই বিতর্কের মাঝেই প্রকাশ্যে এই এক নয়া তথ্য যা নিয়ে শুরু হল জল্পনা। এদিন ভোরে যে ঘটনা ঘটল, তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগেই ধর্ষকদের দ্রুত বিচার হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের পুত্র কে টি রামা রাও।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তেলেঙ্গানার মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র রাজ্যের আমলাদের উদ্দেশ্যে এক সভায় বলেন, ‘সংসদে দাঁড়িয়ে অনেক সম্মানীয় সাংসদই ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের গণপিটুনি বা শ্যুট অন সাইটের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু এভাবে তো চলবে না। সরকারে থাকার কারণে সাংসদদের মতো প্রকাশ্যে অমন কথা আমি বলতে পারি না। কিন্তু সর্বোচ্চ শাস্তি আমিও চাই।’
আর এই ঘটনার ঠিক পরেই চন্দ্রশেখর পুত্র রামা রাও আমলাদের বলেন, ‘দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তিতে বাধা আইনই। কিন্তু বাকি সবার মতো ওই চারজনের মৃত্যু দেখতে চাই আমিও।’ বৃহস্পতিবার রামা রাওয়ের এহেন মন্তব্যের ঠিক ২৪ ঘণ্টা পর এভাবে এনকাউন্টারে ৪ অভিযুক্তের মৃত্যুতে সরকারের ইন্ধন দেখছে অনেকেই। যদিও পুলিশের দাবি, ওই ৪ অভিযুক্ত শুক্রবার তদন্তে পুনর্নির্মাণের সময় পুলিশের বন্দুক কেড়ে পালানোর চেষ্টা করে, তখনই বাধ্য হয়ে গুলি চালাতে হয় ওদের।