চলতি মাসেই আর কয়েকদিনের মধ্যে অযোধ্যা মামলার রায় জানাবে সুপ্রিম কোর্ট। এই বিতর্কিত মামলায় রায় বেরোনোর পরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। যার জেরে নেওয়া হয়েছে চার দফা পরিকল্পনা। প্রশাসনের কর্তারা মনে করেন, একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে অপরটি কাজে লাগানো যাবে। আপাতত শহরে ১২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সেখানে পাঠানো হবে আধা সেনা ও প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্ট্যাবুলারি।
একটি সূত্রের খবর, অযোধ্যায় কার্ফু জারি করা হবে না। স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখারও পরিকল্পনা নেই। প্রশাসন চাইছে, শহরের অবস্থা স্বাভাবিক থাকুক। আশা করা হচ্ছে, ১৭ নভেম্বরের আগে মন্দির-মসজিদ বিতর্কে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি স্তরের কোনও অফিসারকে শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা জঙ্গি হানা, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, জনরোষ ও আরও যে কোনও আপৎকালীন ব্যবস্থা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। বিতর্কিত অঞ্চলে নিরাপত্তার কোনও ত্রুটি আছে কিনা, তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রায় বেরোনোর পর আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অযোধ্যা শহরে চার জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নজরদারি চালানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। কেউ আপত্তিকর কিছু পোস্ট করলে তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হবে। অযোধ্যা রায় নিয়ে কেউ যদি বিতর্কিত কিছু পোস্ট করেন বা শেয়ার করেন, তাহলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
জানা গেছে, শুধু কয়েক হাজার সেনা কর্মী মোতায়েন করাই নয়, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কিছু অস্থায়ী জেলও তৈরি করতে চলেছে যোগীর প্রশাসন। সূত্রের খবর, আম্বেদকরনগরের কলেজগুলিকে জেলে পরিণত করা হচ্ছে। আম্বেদকর জেলা স্কুল ইনস্পেক্টরের এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন কলেজে ৮টি অস্থায়ী জেল বানানো হবে। আকবরপুর, টানডা, জালালপুর, জেটপুর, ভিটি এবং আল্লাপুরে ওই জেলগুলি তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অযোধ্যায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।