প্রতিবছরের মতোই ফোঁটা নিয়ে দিদির বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন শোভন। ভাইফোঁটার দিন দুপুরে এই একটা ফ্রেমেই হই হই পড়ে গিয়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে। ঘরের ছেলের ঘর ওয়াপসি নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখন সম্ভাবনা আরও উস্কে দিয়ে, প্রাক্তন মেয়রের নিরাপত্তা বাড়িয়ে ওয়াই ক্যাটেগরি করার কথা ঘোষণা করে রাজ্য। ফলে আজ সকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতির অন্দরে একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল, এদিন তৃণমূল ভবনে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে কি আসবেন শোভন? শেষমেশ জল্পনার অবসান। আজকের বৈঠকে দেখা গেল না তাঁকে।
প্রসঙ্গত, বিজেপিতে যোগদানের পরও শোভনকে দল থেকে সাসপেন্ড বা বহিষ্কার করা হয়নি। এখনও তিনি তৃণমূলের বিধায়ক। তাই মনে করা হয়েছিল, যেহেতু দিদি ও ভাইয়ের মধ্যেকার বরফ গলেছে, তাই এদিন উপস্থিত হয়ে সকলকে চমকে দিতে পারেন দিদির প্রিয় কানন। তবে শেষমেশ আজকের বৈঠকের তাঁর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেল না। দলীয় সূত্রে খবর, শোভনকে নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিচ্ছে তৃণমূল। অন্যদিকে, ধীরে চলো অবস্থান শোভনেরও। সেই কারণেই বিজেপির সঙ্গে দু’মাসের ‘মধুচন্দ্রিমা পর্ব’ কেটে গেলেও ভাইফোঁটা পরবর্তী তৃণমূলের প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচীতে দেখা দেখা গেল না তাঁকে।