সম্প্রতি এক ভয়ানক তথ্য প্রকাশ হয়েছে, যা দেখে গোটা দেশ শিউরে উঠতে বাধ্য। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দেশজুড়ে প্রতি এক বছরে ৩০০ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। যার মধ্যে রয়েছে মুখের ক্যান্সার, সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সারের মত ক্যান্সার। ন্যাশনাল হেল্থ প্রোফাইল অনুযায়ী ২০১৯, এর তথ্য অনুসারে ২০১৭ থেকে ১৮-র মাধ্যে প্রায় ৩২৪ শতাংশ ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে দেশজুড়ে।
পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১৮ সালে দিল্লীর রাজ্য সরকার চালিত ক্লিনিকে ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী এসেছে ৬ কোটি ৫০ লক্ষ। যার মধ্যে মুখের ক্যান্সার, সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সারের মত ক্যান্সার রোগী এসেছে ১ কোটি ৬ লক্ষ। ২০১৭ সালে যেখানে দিল্লির এনসিডি ক্লিনিকে ক্যান্সারের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৬৩৫ জন। অন্যদিকে ২০১৭ সালে যেখানে মোট ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল সাড়ে তিন কোটি, তা ২০১৮ সালে বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ ৬ কোটি ৬ লক্ষ এনসিডি-তে। চিকিৎসকদের মতে ক্যান্সারের এই বাড়বাড়ন্তের কারণ আমাদের প্রতিদিনের অনিয়ন্ত্রিত জীবন, খাদ্যাভ্যাস এবং প্রচুর পরিমাণে তামাকজাত পদার্থের সেবন ও মদ্যপান।
চিকিৎসকদের মতে, ক্যান্সারের এই হারে বৃদ্ধির পিছনে আসল কারণ বেশির ভাগ ক্ষত্রে দেখা গেছে তামাকজাত বস্তুর ব্যাপক ব্যবহার। যার ফলে মুখের ক্যান্সার দেশজুড়ে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি করেছে। তার সঙ্গে মদ্যপান সেই ভয়কে অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছে। একইসঙ্গে বেরেছে স্তন ক্যান্সারও। যদিও এর থেকে রক্ষা পেতে বর্তমানে চিকিৎসকেরা স্তন্যপানের ওপর বিশেষ করে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
সেই পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ক্যান্সারের এই ব্যাপক হারে বৃদ্ধির তালিকায় ২০১৮ সালের তথ্য বলছে প্রথম স্থানে রয়েছে গুজরাত। আর তারপর রয়েছে যথাক্রমে কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা এবং বাংলা। তথ্য অনুসারে ২০১৭ সালে যেখানে গুজরাতে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৩৯ জন তা ২০১৮ সালে এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৭২ হাজার ১৬৯ জন। পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশেও একই ভাবে ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ক্যান্সারের মত রোগ।