সাধারণ মানুষ যাতে তাঁদের নিজস্ব মতামত নির্দ্বিধায় জানাতে পারেন তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছেন কর্মসূচী দিদিকে বলো। প্রথম দিন থেকেই বহু মানুষের সমস্যার সমাধান করেছে দিদিকে বলো। এবার দিদিকে বলোয় ফোন করে সমস্যার সমাধান পেলেন এক ব্যবসায়ী। তারকেশ্বরের কেটেরা গ্রামের বাসিন্দা সুজিত ফের তাঁর আলুর আড়ত খুলে ব্যবসা শুরু করেছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ১০ বছর ধরে তালপুর অঞ্চলের মুক্তারপুরে আড়ত খুলে আলুর ব্যবসা করতেন সুজিত। সুজিতের অভিযোগ, গত বছর ব্যবসার অংশীদারিত্ব নিয়ে তাঁর সঙ্গে গন্ডগোল হয় স্থানীয় আরেক আলু ব্যবসায়ী রবিন মাইতির। যার জেরে প্রায় এক বছর নিজের ব্যবসা চালাতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী এর ফলে তাঁকে প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হয়।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় তালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা দেবশ্রী সামন্তের কাছে যান তিনি। দেবশ্রী তাঁকে পরামর্শ দেন, ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করে জানাতে। দেবশ্রীর কাছ থেকেই ফোন নাম্বার নিয়ে অভিযোগ জানান। ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করার পরে সুজিতকে আশ্বাস দেওয়া হয়, সমস্যার সমাধান খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
অভিযোগ জানানোর কিছুদিন পরে সুজিত লক্ষ্য করেন, তাঁর দোকানের সামনে ডাঁই করে রাখা বালির স্তূপ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি এর পরে ফের আড়ত খোলেন। এবার কেউ কোনও বাধা দেয়নি। আপ্লুত সুজিত বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উদ্যোগে আমার পরিবার প্রাণে বাঁচল। আমি কৃতজ্ঞ ‘দিদিকে বলো’র কাছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা দেবশ্রীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। উনিই আমাকে এই পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাতে আশাতীত ফল পেয়েছি।’