বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বহুবার পাহাড় সফরে গেলেও এই প্রথম বার কার্শিয়াংয়ের গিদ্দা পাহাড়ের জঙ্গল লাগোয়া সার্কিট হাউসে উঠেছিলেন। পাহাড় সফরে গিয়ে এবার অন্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাতে সেই জঙ্গলেই দেখা মিলল দুটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের। তার মধ্যে একটি মুহূর্তে জঙ্গলে মিলিয়ে গেলেও, অন্যটি বেশ কিছুক্ষণ ধরা দিয়েছে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায়।
গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সেখানে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। এর কিছুক্ষণ পরেই এসএসইউ কমান্ডোরা এলাকায় টহলদারি শুরু করে। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার (পিএসও)-১ স্বরূপ গোস্বামী। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয়কে সুনিশ্চিত করতে এবং গোটা এলাকাকে ‘স্যানিটাইজ’ করতে এটাই রুটিন কমান্ডোদের।
সরকারি সূত্রের খবর, রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্রাম নেওয়ার সময় তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা কয়েক জন অফিসার সার্কিট হাউস লাগোয়া এলাকায় পায়চারি করছিলেন। তখনই তাঁরা জঙ্গলে গাছের ফাঁকে দুটি জ্বলজ্বলে চোখ দেখতে পান। এক নিরাপত্তা অফিসার মোবাইলে ভিডিয়ো করতে গেলে তার আলোয় দেখতে পান চিতাবাঘটিকে। জোড়া চিতাবাঘ নজরে পড়ার পর থেকেই সেখানে বাড়তি নজরদারি শুরু করে বনদফতর। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি উইংয়ের (এসএসইউ) কমান্ডোরা।
টহলদারির সময় জঙ্গলে কিছু নড়াচড়া করতে দেখে সতর্ক হন কমান্ডোরা। টর্চের আলো ফেলতেই দেখা যায় জোড়া চিতাবাঘ। তার মধ্যে একটি নিমেষে জঙ্গলে ঢুকে গেলেও, অন্যটি পাহাড়ের বাঁকে দুটি পাইন গাছের মাঝে বসে রীতিমতো ফোটো তোলার পোজ দেয়। আর তখনই গোটা বিষয়টি মোবাইল ফোনে ক্যামেরাবন্দি করেন স্বরূপবাবু। সাত-আট সেকেন্ড পরে পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘটি ঢুকে যায় গভীর জঙ্গলে।