৫ বছর আগের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি ভাঙার কমপক্ষে ছ’টি অভিযোগ উঠেছিল। সব ক’টি ক্ষেত্রেই শেষ পর্যন্ত ক্লিনচিট পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবারেও মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। এতদিন তা নিয়ে নীরবই ছিল কমিশন। তবে বিরোধীদের চাপের মুখে পড়ে অবশেষে তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের। মোদীর মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে বিজেপিকে নোটিস পাঠাল কমিশন। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধীকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে। ২৯ এপ্রিলের মধ্যে দু’পক্ষকেই জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত রবিবার রাজস্থানের একটি সভায় গিয়ে মোদী বলেন, ‘সরকারে থাকাকালীন কংগ্রেস বলেছিল দেশের সম্পদের ওপর মুসলিমদের অধিকার সকলের আগে। অর্থাৎ দেশের সম্পদ বন্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের পরিবারে বেশি সন্তান রয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে দেশের সম্পদ। কংগ্রেসের ইস্তেহারেই বলা হয়েছে, মা-বোনদের সোনার গয়নার হিসেব করে সেই সম্পদ বিতরণ করা হবে। মনমোহন সিংয়ের সরকার তো বলেই দিয়েছে, দেশের সম্পদে অধিকার মুসলিমদেরই। আপনাদের মঙ্গলসূত্রটাও বাদ দেবে না।’ মোদীর করা ওই মন্তব্যকে এক বাক্যে ঘৃণাভাষণ আখ্যা দিয়ে তার নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এবার বিজেপিকে নোটিস পাঠানো হল। ২৯ এপ্রিলের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।