লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই ফের বিতর্কের কেন্দ্রে মোদী সরকার। বহুদিন ধরেই মহাসমারোহে মোদীর ‘গ্যারান্টি’র প্রচার করছে শাসকদল বিজেপি। এরই মধ্যে সেই গ্যারান্টিকে নস্যাৎ করল
খোদ আরবিআই। উল্লেখ্য, দেশবাসীর দুর্ভোগের বড় কারণ মূল্যবৃদ্ধি। খাদ্যপণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। মোদী ও তাঁর দল এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা যতই দাবি করুন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে, লাগাতার সে দাবি ধাক্কা খাচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানাচ্ছে, গোটা বছরই খাদ্যপণ্যের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিছু কিছু সামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে এলেও খাদ্যপণ্য ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার কমছে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিকতম স্টেট অব দ্য ইকনমি রিপোর্টে মূল্যবৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকার কারণ হিসাবে, প্রবল গরম, খরা পরিস্থিতি, বহু জেলায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার আশঙ্কা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দামের ঊর্ধ্বমুখী আচরণ, চিহ্নিত করা হয়েছে এই কারণগুলিকে।
প্রসঙ্গত, আরবিআইয়ের আধিকারিক ও সেই কমিটির প্রধান স্বয়ং ডেপুটি গভর্নর এই রিপোর্ট তৈরি করেন। ভোট শুরু হয়েছে দেশে। এই আবহে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এহেন রিপোর্ট গরিব ও মধ্যবিত্তের জন্য চিন্তার কারণ। গরিব এবং মধ্যবিত্তের প্রধান চিন্তা খাদ্যপণ্য এবং বাড়ি-গাড়ির জন্য নেওয়া ব্যাঙ্ক ঋণের ইএমআইয়ের বোঝা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বুলেটিন রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছে, মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশের মধ্যে আসার ক্ষেত্রে একমাত্র অন্তরায় হল খাদ্যপণ্য। চলতি আর্থিক বছরে খাদ্যদ্রব্যের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা দেখা না। আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা ও আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামা মূল্যবৃদ্ধির হারকে প্রভাবিত করবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে জেরবার হবে দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা, আর মধ্যবিত্তের মাথায় ঋণের ইএমআইয়ের বোঝা চেপে বসবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।