নোবেল জয়ের পর থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা পাচ্ছেন অভিজিৎবাবু। তাকে নিয়ে খুশির জোয়ারে ভাসছে গোটা দেশ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাঁকে সংবর্ধনা দিতে আগ্রহী। সূত্রের খবর, এবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে সাম্মানিক ডিএসসি সম্মানে ভূষিত করতে চায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ডিএসসি বা ডক্টর অফ সায়েন্স অত্যন্ত সম্মানীয় একটি ডিগ্রি। শুধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নয় প্রেসিডেন্সিও অভিজিৎ বাবুকে সেরা প্রাক্তনীর পুরস্কারে ভূষিত করবে।
এদিকে, মঙ্গলবারই সন্ধেবেলায় কলকাতায় পৌঁছন নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং ব্রাত্য বসু। নোবেলজয়ীকে দেখতে এদিন বিমানবন্দরে জনতার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায়। তার আগে দিল্লি থেকে বিমান ওঠার পর অভিজিৎবাবুকে সারপ্রাইজ দেন বিমানকর্মীরা। ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে অভিনব সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয় তাঁকে। তাতে যারপরনাই খুবই উচ্ছ্বসিত অভিজিৎবাবু।
তারপরই কলকাতায় নেমে বিমানবন্দরে তাঁকে দেখতে জনপ্লাবন বুঝিয়ে দিচ্ছে দেশের মানুষ তাঁর জন্য কত গর্বিত। এদিনই সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে আলোচনা হয় একাধিক বিষয় নিয়ে।
নোবেল প্রাপ্তির পর ভারতের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মতামত জানতে চাওয়া হলে রাখঢাক না রেখেই অভিজিৎবাবু জানিয়েছিলেন, “আর্থিক পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। অর্থনীতি ধ্বংসের পথে। ঘুরে দাঁড়াতে হলে, লড়াইয়ে বেগ পেতে হবে”।