বিএসএনএলের কর্মীদের বেতন না পাওয়া নিয়ে সমস্যা দীর্ঘদিনের। কেন্দ্রের কাছে বারংবার আবেদন করা সত্ত্বেও এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। দীর্ঘ দিনের বকেয়া বেতন না পেয়ে নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন কর্মীরা। যার জেরে আজ কয়েকশো বিএসএনএলের অস্থায়ী কর্মী বিজেপি রাজ্য দপ্তরের সামনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএনএলকে বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা। এমনকি বিজেপি রাজ্য দপ্তরের সামনে বসে পরেন অনেক আন্দোলনকারী। বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
মাস কয়েক আগে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে গোটা উত্তর দিনাজপুর জেলা জুরে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিএসএনএল পরিষেবা।উল্লেখ্য, বকেয়া বেতনের দাবিতে রায়গঞ্জে অবস্থিত বেশ কয়েকটি বিএসএনএল অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন টেলিকম সংস্থার প্রায় ১৫০ অস্থায়ী কর্মী।
বিএসএনএল কর্মী গৌতম বাগচী, মেয়েকে এর মধ্যেই ছাড়িয়ে নিয়েছেন বেসকারি দামী স্কুল থেকে। ভর্তি করেছেন সরকারি স্কুলে। সেখানেও টাকা দিতে ভাঙতে হয়েছে প্রভিডেন্ট ফান্ড। তাই উমা যখন আসছে বাপের ঘরে, তখন মেয়ের মুখের দিকে চাইতে পারছেন না গৌতম। বলতেও পারছেন না, ‘‘আসছে বছর তোকে আরও ক’টা জামা কিনে দেব।’’ বলতে পারছেন না, কারণ আসছে বছর ভবিষ্যতের তলায় চাপা পড়ে আছে, যার উপরে রয়েছে অর্থনীতির হাজার একটা অনিশ্চয়তা।
দীর্ঘ ৪-৫ মাসের বকেয়া বেতন দ্রত মেটানোর দাবিতে সোমবারও কলকাতার টেলিফোন ভবনে বিক্ষোভ দেখাল টেলিকম এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, উওর কলকাতার আইএনটিটিইউসি ‘র জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী সহ একাধিক বিশিষ্টজনেরা। এদিন কয়েক হাজার বিএসএনএল কর্মী এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।