নোবেলজয়ী দেশে ফিরছেন খবর পাওয়ার পরেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল, ক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মানপ্রদান করা হবে। সেইমতো বুধবার বালিগঞ্জের বাড়িতে গিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে মোহনবাগান ক্লাবের আজীবন সদস্যপদের সম্মান তুলে দিলেন কর্তারা। এ দিন তাঁর হাতে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের মেম্বারশিপ কার্ড, জার্সি ও ১৯১১-র শিল্ডজয়ী মোহনবাগান দলের ছবি তুলে দেন বাগান কর্তা সৃঞ্জয় বসু এবং দেবাশিস দত্ত। অভিজিৎবাবুকে পরিয়ে দেওয়া হয় সবুজ-মেরুন উত্তরীয়ও।
নোবেলজয়ের পরেই অভিজিৎ বিনায়কের কাছে ইমেল পাঠিয়ে সম্মান জানানোর কথা জানিয়েছিল মোহনবাগান। সেই সময়ে দোটানায় পড়ে গিয়েছিলেন অভিজিৎবাবু। সেই কথা নিজেই জানিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমকে। কারণ, তিনি নিজে একজন খাঁটি ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। তারপর বলেন, “সব দোটানা ছেড়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি মোহনবাগানের সম্মান গ্রহণ করব। কারণ এই দুটি ক্লাবই তো বাঙালির ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।”
মহানির্বাণ রোডে ছোটবেলা কেটেছে অভিজিৎবাবুর। ওই এলাকায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাহলে কী ভাবে এই লাল-হলুদের প্রেম? অভিজিৎবাবু জানিয়েছিলেন, তাঁর পিসতুতো দাদার পাল্লায় পড়ে তিনি ইস্টবেঙ্গল সমর্থক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ির সবাই মোহনবাগান হলেও দাদার কাছে ইস্টবেঙ্গলের সাফল্য কাহিনী শুনতে শুনতে অজান্তেই সমর্থক হয়ে গিয়েছেন। মাঠে গিয়ে একসময়ে ইস্টবেঙ্গলের খেলাও দেখতেন অভিজিৎবাবু। গতকাল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফেও অভিজিৎবাবুর মায়ের হাতে সম্মানপ্রদান করে আসেন লাল-হলুদের কর্তারা। আর এ দিন মোহনবাগানের সম্মান গ্রহণ করলেন নোবেলজয়ী বাঙালি।