আমি জানি আজ রাতে আমাদের মতো অনেকে জেগে৷ আর মাত্র কয়েক মিনিট। কোন ধর্মের জুজু জাগিয়ে রাখেনি। কোন কড়া ডোজের কফি জাগিয়ে রাখেনি।
৭৫বছর পুরনো একটা আকাশবাণী কলকাতার রেকর্ড জাগিয়ে রেখেছে বাঙালিকে। অহমিয়াকে, ত্রিপুরিকে। এরা স্রেফ একবার ছুঁয়ে দেখতে চায় ছেলেবেলাকে, মায়ের ডেকে দেওয়াকে, পাড়ার মাইকে বীরেন ভদ্রকে।
আমি জানি বাঙালি জেগে আছে। আমার মতো। আপনার মতো কোন লাভ লোকসানের তোয়াক্কা না করে। স্রেফ একটা রেডিও আঁকড়ে৷
যারা এই নিষ্ঠা দেখাতে পারে শিল্পের জন্য, নস্টালজিয়ায় জন্য তাদের জন্যই তো দুর্গা বারবার ফিরে ফিরে আসে, মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, যা মন চায় এই চার দিন করার স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য।
বাঙালি সব পারে। এক হাতে বোরোলিন, এক হাতে জেলুসিল নিয়ে আর মাথায় মাংকি টুপি পরে সে পাহাড় চড়তে পারে, সাগর পার করতে পারে, মহাকাশ পারি দিতে পারে। বাঙালির এই জিয়া নস্টাল অক্ষয় থাক মা!
“অশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর,
ধরণীর বহিরাকাশি অন্তর্হিত মেঘমালা;
প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমন-বার্তা,
আনন্দময়ী মহা মায়ার পদধ্বনি;
অসীম চাঁদে বেজে উঠে রূপ-লোক ও রস-লোক এ আনে নব ভাবমাধুরী সঞ্জীবন,
তাই আনন্দিত শ্যামলী মাতৃকার চিন্ময়ী কে মৃন্ময়ী তে আবাহন”
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত