অণুগল্প #বংযাত্রীরবম্বেডাইরি
বারান্দা তে রাখা রেডিও, ইজি চেয়ারে চা, সকাল নামলো বলে। রাজপথে তখন হয়তো দুধওয়ালা, খবরের কাগজের গাড়ি ও কিছু উশখুশ। জটলা করে অপেক্ষা।
দূর থেকে একটা ট্রেন এর শব্দ, কয়েকটা কাশ ফুলের ছবি, সামনে সমুদ্র। অনেক নৌকো। সব নৌকো করে ঢাকি আসছে। বিশাল বিশাল বালিশ মাথায়।
কত জোনাকি প্যান্ডেল এর ঝাড়বাতি জুড়ে। এদের প্রসাদে ভাডা পাও আর মোদক দেওয়া হবে। আকাশে একটা ব্রিজ উঠে গেছে। ওটা সোজা বাইশ তলা যায়। ওখানে নাকি আসল দেবী রাখা। সোনার দেবী। সামনে ধুনুচি নাচ হচ্ছে। অভিনেতারা সব ক্যামেরার সামনে নাচছে।
এ সময় খুব তেষ্টা পায়। ঘুম চোখে বোতল খুঁজতে গেলে ওদের সবার সাথে ধাক্কা লাগে। হুরমুড়িয়ে গিয়ে পরি রেডিওতে, রেডিওর নব মাথায় লেগে বেজে ওঠে। চারদিক থেকে বীরেন ভদ্র জেগে উঠেছে। এখন চারটে বাজে। ধুম জ্বর কোন বাঙালি মেয়ে বা ছেলের। প্রবাসে মা নেই। উমা ও নেই। প্যারাসিটামল মায়ের মতো ভালো লাগে এখন। আর ভালো লাগে আধঘুমন্ত পাড়ার স্বপ্ন দেখতে। চাঁদা কাটার জন্য আজ সন্ধেবেলা ফের বেরোতে হবে, কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা আনতে হবে, মাঞ্জা দিতে হবে, বিরিয়ানি খেতে হবে।
যে ছেলেমেয়ে গুলো এখন ও ঘড়ি মিলিয়ে নেটে বীরেন ভদ্র শোনে ওদের প্রবাসে কোলবালিশ উপহার দিন। খুব মনখারাপে জাপ্টে ধরতে পাবে ফেলে আসা শহরকে।
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত