একেবারে তীরে এসে তরী ডুবেছে৷ গতকাল গোটা দিন-রাত ধরে সারা দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন কখন চাঁদের মাটি ছোঁবে ইসরো৷ কিন্তু মাত্র ২.৫ কিমি আগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হল বিক্রমের৷ হতাশ বিজ্ঞানীরা৷ কিন্তু সত্যিই কি ব্যর্থ এই মিশন? না এই যে গোটা দেশের মানুষ কথা বলছে, পাশে আছে এটাই তো সাফল্য৷
তবে আশা ছাড়েনি ইসরো। মহাকাশবিজ্ঞানের গবেষণায় ব্যর্থতা বলে কিছু হয় না৷ রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে চিত্র তারকা, খেলোয়াড় থেকে দেশের আম জনতা, ইসরোর সাফল্যকে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন অনেকেই। আজ সকাল থেকে টুইটারে ছেয়ে গেছে প্রশংসামূলক বার্তা।
কাল মাঝরাতে যখন ল্যান্ডারের সঙ্গে শেষ সংযোগটুকুও ছিন্ন হয়ে যায়, ইসরো কর্তা শিবনের চোখে তখন জল। মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু তারপরেই দৃঢ় গলায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘোষণা করেন৷ এই দৃঢ়তাকে কুর্নিশ জানিয়েছে সকলে৷
চাঁদের দক্ষিণ মেরু অবিযান ভারতের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল, তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই, সাফল্য আবারও আসবে, টুইট করে ইসরো বিজ্ঞানীদের জানাচ্ছেন অনেকে।
কাল ইসরোর দফতরে উপস্থিত না থাকলেও, আরও লক্ষ দেশবাসীর মতোই রাত জেগে স্ক্রিনে চোখ রেখেছিলেন রাহুল গান্ধী। অপেক্ষা করছিলেন চন্দ্রযান ২-এর চূড়ান্ত খবর পাওয়ার জন্য। সিগন্যাল বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে টুইট করেন তিনিও। লেখেন, “ইসরোর বিজ্ঞানী দলকে চন্দ্রযান ২ অভিযানের জন্য অভিনন্দন। আপনাদের আবেগ, আপনাদের একান্ত প্রচেষ্টা প্রতিটা দেশবাসীর অনুপ্রেরণা। আপনাদের এই পদক্ষেপকে একেবারেই ব্যর্থ বলে ভাববেন না, এটা ভারতের মহাকাশ চর্চা ক্ষেত্রে আগামী পথ পেরোনোর প্রথম ভিত্তি কেবল।”
বিজ্ঞানে ব্যর্থতা বলে কিছু নেই, সব কিছুই সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, বলেছিলেন কালাম৷ সেই লক্ষ্যেই এবার নয়া পথচলা শুরু ইসরোর৷