বেতন হচ্ছে না। সেই ক্ষোভে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন বিএসএনএল-এর প্রায় ৮০ হাজার কর্মী। তাতেই বেজায় চটেছে কর্তৃপক্ষ। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে যান। অর্থাৎ স্পষ্ট বার্তা, কাজ করতে হলে আমাদের মর্জিমতো করুন। নয়ত নিজেদের রাস্তা দেখে নিন।
জানা গেছে, ৫০ শতাংশ কর্মীকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএনএল। প্রক্রিয়াও ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে। উল্টোদিকে বেতন না পাওয়ায় বিক্ষোভ বাড়ছে গোটা দেশে। বিএসএনএল কর্তপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ‘অন্তত ৭০০০০ কর্মীকে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার একটা প্রস্তাব আনা হয়েছে।’ প্রশ্ন উঠছে, এত লোককে স্বেচ্ছাবসর নিতে বাধ্য করলে সংস্থা চলবে কীভাবে? কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার কর্মী রয়েছে। ৭০০০০ স্বেচ্ছাবসর নিলেও অন্তত ১ লক্ষ কর্মী থাকবেন।’ কর্তৃপক্ষের মতে, সংস্থাকে বাঁচাতে হলে অর্থ সঞ্চয় করতে হবে। জানা গেছে বিএসএনএলের আয়ের ৭৫ শতাংশ চলে যায় কর্মীদের বেতনে।
একদিকে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা ফেব্রুয়ারি থেকে বেতন পাচ্ছেন না। নিয়মিতদের আগস্ট মাসের বেতন হয়নি। কর্মী ইউনিয়ন বারবার বলেও কর্তৃপক্ষকে টলাতে পারেনি। সমস্যা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। অন্যদিকে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে জোড়া চাপে নাভিশ্বাস উঠছে বিএসএনএল-এর কর্মীদের।