৯২ মিনিটের দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে খরচ করেননি কর্মসংস্থান নিয়ে প্রায় কোনও শব্দই। কথা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বড় ঘোষণা বলতে কেবল একটিই- সেনা, বায়ুসেনা, নৌসেনার তিন প্রধানের কাজ তদারকি করতে আসছে নতুন পদ ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’ বা স্টাফ। আর কোনও নতুন ঘোষণাই বেরোল না তাঁর প্রতিশ্রুতির ঝুলি থেকে।
তাঁর, দীর্ঘ বক্তৃতায় বরাবরের মতোই জাতীয়তাবাদ উস্কে দিতে চেয়েছেন মোদী। স্টাফ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তিন বাহিনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য গড়তে, পারস্পরিক মতবিরোধ এড়াতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়, জানিয়েছেন সেনাবাহিনী এ দেশের গর্ব। তবে পরিবর্তিত সময়ের প্রেক্ষিতে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও বাড়ানো দরকার। সেই কাজই করবেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ। তাঁর কথায় ‘এতে বাহিনী আরও শক্তিশালী হবে।’
স্বাধীনতা ইস্তক বলবৎ ৩৭০ এবং ৩৫(এ) ধারা বিলোপ হয়েছে সদ্য। পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। যাকে দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাইয়ের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে এটা একটা বড় ধাপ বলে জানিয়েছেন মোদী। বলেছেন, ‘আজ এক দেশ, এক সংবিধান। আমরা প্যাটেলের এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের স্বপ্নপূরণে দায়বদ্ধ।’ তবে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা খর্ব হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে অঞ্চলকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও, স্বাধীনতা দিবসে সেই প্রসঙ্গে কোনও ঘোষণা হয়নি।
তবে ভাষণে ‘এক ভারত, এক নির্বাচন’–এর ওপর জোর দিয়ে একসঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত আগস্টে এই প্রস্তাবই করেছিল আইন কমিশন। বলেছিল এতে জনসাধারণের অনেক টাকা বাঁচবে। তখন কোনও উচ্চবাচ্যই করেননি তিনি। আবার, দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে সংসদের দুই কক্ষে তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ করিয়েছে সরকার। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তা ফলাও করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এতকিছুর মাঝেও ব্রাত্য রয়ে গেল দেশে কর্মসংস্থান তৈরির প্রসঙ্গ। অস্বস্তি এড়াতেই হয়ত সে বিষয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি প্রধানমন্ত্রী, দাবি রাজনৈতিক মহলের।