মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অবশেষে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা কিছুটা সুর নরম করলেন।
রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে চলতি সংকট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে আয়োজন শুরু করে দিল রাজ্য প্রশাসন। এই বৈঠকের জন্য প্রাথমিকভাবে নবান্ন সভাঘরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, আজ, সোমবার দুপুর ৩টের সময় জুনিয়র ডাক্তারদের মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবারের প্রস্তাবিত বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে মোট ২৮ জন প্রতিনিধি থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মুখ্যসচিব মলয় দে, স্বাস্থ্যসচিব রাজীব সিং, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্রের মতো রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবন বলে সূত্রের খবর। এছাড়া সুকুমার মুখোপাধ্যায়, অভিজিৎ চৌধুরীর মতো শহরের প্রবীণ চিকিৎসকরা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। চলতি সংকট মেটাতে এর আগেও দু’তরফের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, জেনারেল বডির বৈঠকের পরে চিকিৎসা ক্ষেত্রে জট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ মতো জাগাতেই আলোচনায় সম্মতির কথা জানান আন্দোলনকারীরা। কখন বৈঠক হবে, সে সিদ্ধান্তও মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ছেড়ে দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে দু’টি শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রতিনিধি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে বৈঠক করতে হবে। তবে তাঁরা এ-ও জানিয়েছে, ‘মানুষের মনে ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই।’
সূত্রের খবর, নিজেদের এই সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্রের কাছে পৌঁছে দেন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে স্বাস্থ্যসচিব রাজীব সিং হয়ে তা মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছয়। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পাওয়ার পরে বৈঠকের তোড়জোড় শুরু করে প্রশাসন। উল্লেখ্য, নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি বারবার চেষ্টা করে গেছেন এর সমাধান খোঁজার। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার। কিন্তু তাঁরা তাঁর কথা শোনেনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ প্রচেষ্টার ফল স্বরূপ অবশেষে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।