বিশ্বকাপে ভারত বনাম পাকিস্তান দ্বৈরথে ৭-০ হয়েই গেল। এবং তাঁর পুরো কৃতিত্ব ১১৩ বলে ১৪০ রান করা রোহিত শর্মা আর কুলদীপ যাদব। ভারতের ৩৩৬ রান তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তান যখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ফখর জ়মান (৭৫ বলে ৬২) ও বাবর আজ়মের (৫৭ বলে ৪৮ রান) ব্যাটে ভর করে, তখনই পাকিস্তানকে জয়ের কক্ষপথ থেকে ওদেরকে আউট করে কুলদীপ যাদব।
আমিরের ও রিয়াজ়ের পরিকল্পনা ছিল বাঁ হাতে বল করতে এসে কোণাকুণি বল করে বিপাকে ফেলবে ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কে এল রাহুলকে। ওরা হয়তো ভেবেছিল মেঘলা আবহাওয়ায় বল নড়াচড়া করবে। সে ক্ষেত্রে গুড লেংথে পড়ে কিছু বল গোত্তা খেয়ে ঢুকে আসবে উইকেটের দিকে। তাতে এলবিডব্লিউয়ের সম্ভাবনা বাড়বে। কিন্তু আমিরদের এই পরিকল্পনা রাহুল ও রোহিত প্রথম দশ ওভারেই ভেস্তে দেয়। ওরা বাইরে যাওয়া বল ছাড়ছিল। মারার বল পেলে মেরেছে। আর খেলছিল একদম সোজা ব্যাটে। বল সে রকম নড়াচড়া করছে না দেখে ফের ভুল রাস্তায় হাঁটে পাকিস্তান। গতি নির্ভর বল করে রাহুল ও রোহিতকে ব্যাটফুটে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল প্ল্যান বি-তে। তাই প্রথম দশ ওভারে শর্ট বল বেশি দিল ওরা। কিন্তু এই সময় আমিরদের হাত থেকে ইয়র্কার বার হল না। কিন্তু রাহুল (৫৭) ও রোহিত দু’জনেই ব্যাকফুটে বেশ পোক্ত। তাই ওদের কোনও অসুবিধা হয়নি পাক বোলিংকে সামলাতে।
অতীতে বিশ্বকাপের এই ম্যাচে ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা নিতে দেখেছি শচিন তেন্ডুলকর, নভজ্যোৎ সিংহ সিধু, অজয় জাডেজা, বিরাট কোহালিদের। রবিবার সেই ভূমিকা নিয়েছিল রোহিত শর্মা। ওর ঝকঝকে ১৪০ রানের জন্যই শুরুতেই চালকের আসনে বসে গিয়েছিল ভারত। আর তার পরে জয়লক্ষ্মী ভারতের ঘরে নিয়ে আসে কুলদীপ যাদব। যা আরও নিশ্চিত করে হার্দিক পাণ্ডিয়া (২-৪০)। তাই ১১৭-১ থেকে দ্রুত ১২৯-৫ হয়ে ম্যাচ থেকেই হারিয়ে যায় পাকিস্তান। শেষমেশ ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচ হারে ৮৯ রানে।