মেয়ের পড়াশোনায় সায় ছিল না বাবার। চেয়েছিল মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে। তাতে রাজি হয়নি মেয়ে। অভিযোগ, সেই কারণে নিজের ছেলের সঙ্গে মিলে মেয়েকেই খুনের পরিকল্পনা করেন ওই ব্যক্তি। তারপর পরিকল্পনা মতো কিশোরীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ছুরি দিয়ে বার বার আঘাত করে ফেলে দেওয়া হয় খালের জলে। তবে কোনোক্রমে বেঁচে যায় সে। শনিবার দাদা ও বাবার বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে উত্তরপ্রদেশের এক কিশোরী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের মাধ্যমে জানা গেছে, ১৫ বছরের ওই কিশোরী শাহজাহানপুর জেলার বাসিন্দা। পুলিশের কাছে মেয়েটি জানিয়েছে, “বাবা আমাকে খালের ধারে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ পর সেখানে দাদা আসে। ও আমার গলায় একটা কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে দেয়। এর পর আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে বাবা। ওদের থামতে বলেছিলাম। কিন্তু ওরা থামেনি। একটু জল চাইলে তাও দেয়নি।” ওই কিশোরীর আরও অভিযোগ, “তাকে মৃত মনে করে খালের জলে ফেলে দেয় তার দাদা। সাঁতার কেটে খাল পেরিয়ে কোনও রকমে প্রাণে বাঁচে সে।”
ওই কিশোরীর অভিযোগ সত্যি বলেই দাবি করেছেন তার জামাইবাবু। তিনি বলেন, “মাস দুয়েক ধরেই আমাদের বাড়িতে থাকছিল মেয়েটি। ওর মা-বাবা চেয়েছিল, মেয়েটির বিয়ে করে দিতে। দিন কয়েক আগেই আমাদের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে নিয়ে যান তাঁরা। এর পর ফোনে খবর পাই, মেয়েটিকে খালের ধারে পাওয়া গিয়েছে।”
শাহজাহানপুরের এএসপি দীনেশ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, “এই অভিযোগের তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও গ্রেফতারি না হলেও তিনি বলেন, ‘‘কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’