সামনে ২১ জুলাই৷ তৃণমূলের অন্দরে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি৷ শনিবার তৃণমূল ভবনে দলের নেতারা বৈঠক করে এই নিয়ে বলেছেন, সামনে ২১ জুলাই শহিদ দিবস। অতীতের সব রেকর্ড ভাঙতে হবে। ঐতিহাসিক সমাবেশ করতে হবে।
এদিনের বৈঠকে দলের নেতাদের আরও একবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করার জন্য৷ বৈঠকে বলা হয়েছে, ‘জেলার নেতাদের কলকাতায় মুখ দেখাবার দরকার নেই। নিজেদের এলাকায় সংগঠনের দিকে নজর দিন। নিজের বুথের ফলাফল খারাপ হলে দল কৈফিয়ত চাইবেই। তাই বুথ ছেড়ে কলকাতায় আসা বন্ধ করুন। সংগঠন শক্তিশালী করার দিকে মন দিন।’
তৃণমূল ভবনে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, যাঁরা দল ছেড়ে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার কোনও প্রয়োজন নেই। দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল অনেক ভাল। কোথাও কোথাও নির্বাচনে দলের ফল আশানুরূপ হয়নি। সাংগঠনিক ত্রুটি নিয়ে আলোচনা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল ঠিক ঘুরে দাঁড়াবে এমনটাই মত নেতাদের৷ নির্বাচনের সময় বিজেপি মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে। প্রচুর টাকা খরচ করেছে। আমরা টাকার সঙ্গে পেরে উঠিনি। মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে। ৪ শতাংশ ভোট বেড়েছে। বিজেপি–র চেয়ে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে।
আলোচনা হয়েছে ২১ জুলাই নিয়েও৷ ২১ জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে বাইরে থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁরা কোথায় থাকবেন তা নিয়ে বৈঠকে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। গতবার সুজিত বসুর উদ্যোগে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে বাইরে থেকে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের রাখা হয়েছিল। এবারও সুজিতের ওপর আস্থা রেখে দল একই দায়িত্ব দিয়েছে। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামেও বাইরে থেকে আগত কর্মীদের রাখা হবে। ছাত্র ও যুবদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। দলের গাইড লাইন মেনে কাজে নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নেত্রীর হাত শক্ত করতে হবে। সরকারের উন্নয়ন নিয়ে ব্লক স্তর পর্যন্ত প্রচার করতে হবে।
তৃণমূল ভবনে এই বৈঠকে ছিলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, জাভেদ খান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস, তাপস রায়, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সোহম, শুভাশিস চক্রবর্তী, অলক দাস, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, পার্থপ্রতিম রায় প্রমুখ। ২১ জুলাইয়ের আগেই ২১ জুন থেকে তৃণমূল জনসংযোগ যাত্রা শুরু করছে। ২১ জুন চন্দ্রকোনায় প্রথম জনসংযোগ যাত্রা। এখানে থাকবেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জি। কোচবিহার থেকেও একই কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। বুথ স্তরের সমস্ত কর্মীকে বলা হয়েছে, দলের পতাকা নিয়ে এই জনসংযোগ যাত্রায় শামিল হতে।