প্রকৃতির কাছে অসহায় আইসিসি। হঠাৎ করেই মনে হল, দ্য বিটলসের ‘ইফ দ্য রেইন কাম’ গানটি। কিন্তু আইসিসি-র এমন অবস্থা, মাথা ঢুকিয়ে ফেলেও লজ্জা লুকোনোর জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বকাপের মতো হাই প্রোফাইল টুর্নামেন্টে একের পর এক ম্যাচ যখন বৃষ্টিতে ভেস্তে যাচ্ছে, আইসিসি বসে বসে দেখছে! কারণ প্রকৃতির কাছে মাথা নত করতেই হয়। কিন্তু প্রশ্ন ঘুরছে অন্য জায়গায়।
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপেও বৃষ্টি বহু ম্যাচে কাঁটা হয়েছিল, কিন্তু রিজার্ভ ডে থাকায় বহু ম্যাচ শেষ করা গিয়েছিল। এবার এখনই তিনটে ম্যাচ পুরো ভেস্তে গিয়েছে। প্রথমে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা, তারপরে দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এ দিন ব্রিস্টলে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। আজ টনটনে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া আর কাল নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ হওয়া নিয়েও বড় প্রশ্নচিহ্ন। কারণ, ইংল্যান্ড তো বটেই, ইউরোপের সর্বত্র প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। যা থামার কোনও লক্ষণ নেই। আর তাই একের পর এক প্রশ্নে জর্জরিত আইসিসি। কেন প্রত্যেক ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখা হল না? ‘সেকেন্ড হাফ অফ সামার’ কেন বিশ্বকাপ করা হল না, যখন বৃষ্টি এত প্রবল হয় না? আসলে সমালোচনার তির তো থেমে থাকার কথা নয়। ফলে ল্যাজে-গোবরে অবস্থা কর্তাদের।
দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে কাপ অভিযান শুরু করেছে ভারত। কিন্তু সমস্যা হল, বৃষ্টিবিঘ্নিত ২০ বা ২৫ ওভারের ম্যাচ হলে তার জন্য স্ট্র্যাটেজি পুরোপুরি অন্যরকম হতে হবে। এইরকম আবহাওয়ায় দুজন রিস্ট স্পিনার খেলানো বোকামি। কাজেই মহম্মদ সামির প্রথম এগারোয় ঢোকা প্রায় নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে তিন পেসারে খেলবে ভারত। বসতে হবে কুলদীপকে। আর বদল বলতে ধাওয়ানের জায়গায় খেলবেন বিজয় শঙ্কর বা দীনেশ কার্তিক। চার নম্বর ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে ভারত নমনীয় থাকতে চায়। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে।
গত দু’দিন ধরেই ট্রেন্ট ব্রিজের পিচ কভারে ঢাকা। যদি ম্যাচ হয়ও, স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় ট্রেন্ট বোল্ট, জিমি নিস্যাম, লকি ফার্গুসনদের খেলা ভারত কেন, কোনও টিমের পক্ষেই সহজ হবে না। বৃহস্পতিবার ম্যাচের দিন ৬০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা। কিন্তু আজ বুধবার সারাদিন বৃষ্টি হলে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকলেও মাঠ শুকোতে সময় লাগবে। আবার নিয়ম অনুযায়ী বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ হলেও সেটা কমপক্ষে ৪০ ওভারের হতে হবে। অর্থাৎ দুটো টিমকেই অন্তত কুড়ি ওভার ব্যাট করতে হবে। তারপর ডাকওয়ার্থ লুইসের নিয়ম আসবে। সেটা আদৌ সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন থাকছে।